• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আমরা ক্লাবে ভাঙচুর করিনি : পরীর সঙ্গী তাসনুভা

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২১, ০৭:০৮ পিএম

আমরা ক্লাবে ভাঙচুর করিনি : পরীর সঙ্গী তাসনুভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরীমনি ঝড়ে উত্তাল ফেসবুক থেকে চায়ের দোকান। সব জায়গায় একটিই নাম 'পরীমনি।' বোট ক্লাব কাণ্ডের পর সব অভিযুক্ত যখন আটক হলেন, তখন ধরেই নেয়া হয়েছিল - ঝড় বুঝি থেমে গেল। কিন্তু এই ঝড় যেন থামার নয়। পরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে গত ৮ জুন গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে সদলবলে ভাঙচুরের। এ বিষয়ে একটি সিসি টিভি ফুটেজ এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেই ফুটেজে দেখা যায় পরীমনির সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, সাংবাদিক তামিম ও বৈশাখী টেলিভিশনের আলোচিত ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ উপস্থাপিকা তাসনুভা শিশির।   

সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সিটি নিউজের সঙ্গে কথা হয় তাসনুভা শিশিরের । প্রথমে তিনি পুরো ঘটনাই অস্বীকার করে যেতে চান। কিন্তু এক পর্যায় স্বীকার করেন, তিনি সেখানে ছিলেন। আর দাবি করেন, সেদিন ক্লাবে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।

শিশির বলেন, এগুলো মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। তারা চাচ্ছে যে পরীর আসল ঘটনাটি সবার নজর থেকে সরে যাক।

তিনি বলেন, তারা যেসব সিসি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছেন, সেখানে তো ভাঙচুরের কোনো ভিডিও নেই। তাহলে তারা কেন এই মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। যার কারণ তারা পরী আসল ঘটনা থেকে সবার নজর সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।

সেইদিনের ঘটনা নিয়ে অল কমিউনিটি ক্লাবের পক্ষ থেকে গত পরশু দিন (১৬ জুন) সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। যেখানে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কেএম আলমগীর ইকবাল বলেন, ঘটনার দিন পরীমনি একজন সদস্যের মাধ্যমে কয়েকজনকে নিয়ে ক্লাবে আসেন। তাদের একজনের পোশাক দেখে ক্লাবের একজন সদস্য আপত্তি তোলেন। তাকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু পরীমনি তার কথা না শোনায়, তিনি নিজেই চলে যান। পরীমনি যে সদস্যের মাধ্যমে এসেছিলেন তিনিও পরীমনিকে চলে যেতে বলেন। পরিমনী কথা না শোনায় এক পর্যায়ে ওই সদস্যও চলে যান। 

কিন্তু পরীমনি তখন না যেয়ে উল্ট চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙতে থাকে গ্লাস ও ছাইদানী । এক পর্যায়ে পরীমনির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ইমার্জেন্সি নম্বর ৯৯৯ –এ কল করেন। পুলিশ আসার পরও তিনি এগুলো ছুড়তে থাকেন। তাকে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। তখন ক্লাবের দু'জন ওয়েটার ছিল। এ সময় পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগ শোনেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের অনুরোধে পরীমনি ও অন্যরা চলে যান। এরপর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

মাহি/নির্জন     

আর্কাইভ