• ঢাকা শুক্রবার
    ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সহায়তা করলেও এখনই যুদ্ধবিমান দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান চেয়ে পাঠানো প্রস্তাব ওয়াশিংটনে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার দিনে রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অগ্রগতি লাভ করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, কিয়েভ রাশিয়ার মোকাবিলার জন্য ট্যাংকের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানও চাইবে। 
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের উপদেষ্টা ইউরি স্যাক রয়টার্সকে সে সময় বলেছিলেন, ‘এখন কেবল রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের বাধা পাড়ি দেয়া বাকি থাকল।’ তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা এখনই বাস্তবায়ন করছে না যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, ইউক্রেনকে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ-১৬ সরবরাহ করা উচিত কি না? জবাবে বাইডেন বলেন, ‘না, উচিত নয়।’
এদিকে রাশিয়ার কর্মকর্তা দাবি করেছেন, তাদের সৈন্যরা ইউক্রেনের পূর্বাাঞ্চলে দোনেৎস্কের একটি এলাকায় যুদ্ধে অগ্রগতি লাভ করেছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে। রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের প্রশাসক দানিশ পুশিলিন বলেছেন, ‘রুশ সৈন্যরা ভলেদার নামে কয়লাখনি সমৃদ্ধ একটি শহর দখল করে নিয়েছে।’ 
পুশিলিন আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্ক শহরের ঠিক পশ্চিমের তিনটি শহর বাখমুত, মেরিঙ্কা এবং ভলেদারে শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিরোধের পরও রুশ বাহিনী সেখানে অগ্রগতি লাভ করছে। তবে এখনো সেই অর্থে বড় বিজয় আসেনি। এখানে আক্ষরিক অর্থে প্রতি বর্গমিটার দখলের জন্য যুদ্ধ চলছে।’ 


এর আগে, রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক লোপার্ড ট্যাংক সরবরাহের ঘোষণা দিলেও কোনো অবস্থাতেই যুদ্ধবিমান দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যুদ্ধবিমান চাওয়ার দাবিকে জেলেনস্কি সরকারের বাড়াবাড়ি বলেও মন্তব্য করেন।

 

এনএমএম/এএল

আর্কাইভ