• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন

তদন্ত চলাকালীন সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউ চালু করা অন্যায়

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ০১:০০ এএম

তদন্ত চলাকালীন সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউ চালু করা অন্যায়

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউ পরিচালনার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তদন্ত চলা অবস্থায় এটি চালু করা অন্যায়।

সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন শেষে কনফারেন্স রুমে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউ পরিচালনার বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। এরই মধ্যে আইসিইউ কার্যক্রম চালু হয়েছে কি না, এ সম্পর্কে আমি জানি না।’

এর আগে দুপুরে হাসপাতালটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এম এ কাশেম স্বাক্ষরিত এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে সেন্ট্রাল হসপিটালের আইসিইউ বিভাগের সব কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের পর মা মাহমুদা রহমান আঁখি রোববার (১৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় মারা যান। আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৯ জুন প্রসব ব্যথা উঠলে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীন মাহবুবা রহমান আঁখিকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছেন। একপর্যায়ে আঁখি জ্ঞান হারান। এমন অবস্থায় ডেলিভারি করলে হার্টবিট বন্ধ হয়ে আইসিউতে মারা যায় নবজাতক। এ ঘটনার পর আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ল্যাবএইডের চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের কিডনি, লিভার, হার্ট এবং অন্য কোনো অংশ কাজ করছিল না। এর মধ্যে স্টোকও করেন আঁখি, রক্তক্ষরণও বন্ধ হচ্ছিল না।

সেন্ট্রাল হাসপাতালের এ ঘটনায় চিকিৎসক ও নার্সসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

এ ছাড়া বুধবার (১৪ জুন) ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু এবং মা মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ার ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা হয়। মামলায় ডা. শাহজাদী, ডা. মুনা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর বুধবার রাতেই ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। 

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর গঠিত টিম গত শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। পরে সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালটিতে আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিতে পারবেন না বলেও জানানো হয়।

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ