• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

খুলনায় লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩, ০২:৩০ এএম

খুলনায় লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খুলনায় লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুলে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগী নারী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুলে এসে লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলারদের কথা শোনেন।

এ সময় সংসদ সদস্য শেখে জুয়েল জানান, নারী ফুটবলারদের লাঞ্ছনার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনেছেন। তিনি নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নারী ফুটবলারদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নারী ফুটবলারদের জন্য স্থানীয় মাঠটি সংস্কারসহ একটি একাডেমি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

খুলনা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ আমাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী নারী ফুটবলারদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তাদের কথা শুনেছি। তাদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাঞ্ছনার শিকার নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পুলক দে, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নূরুল আলম, স্থানীয় জলমা ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, বটিয়াঘাটা থানার ওসি শওকত কবিরসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাত ৮টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামের চার নারী ফুটবলারকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায় নুরুল আলম খাঁ, তার স্ত্রী রঞ্জি বেগম, মেয়ে নূপুর খাতুন ও ছেলে সালাউদ্দিন খাঁ নামে কয়েকজন। হাত-পা বেঁধে রাখার দুই ঘণ্টা পর ফুটবলার মঙ্গলীকে উদ্ধার করে স্থানীয় তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রশিক্ষণরত সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় সাদিয়া নাসরিন ৩০ জুলাই চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১লা আগস্ট সাদিয়া নাসরিন বটিয়াঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ