• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট, উচ্ছ্বসিত যাত্রী ও চালকরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৫:২৫ পিএম

১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট, উচ্ছ্বসিত যাত্রী ও চালকরা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মাত্র ১০ মিনিটে সাড়ে এগারো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রী ও চালকরা। এ পথে চলার মধ্যে দিয়ে যানজটের নগরীতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। আর তাই স্বল্প সময়ে এতোটা পথ পাড়ি দিয়ে আনন্দে ও উচ্ছ্বসিত তারা।

রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (উড়াল সড়ক) সর্বসাধারণের জন্য দ্বার খুলে দেয়ার পর প্রথম গাড়িতে সঙ্গী হয়েছিলো সিটি নিউজ ঢাকাও। এ সময় কথা হয় যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে। ঘড়ির কাটায় ঠিক সকাল ৬টা। উড়াল সড়কের গেট খোলার পর শুরু হয় বাধাহীন পথচলা। আগে থেকেই এ পথে যেতে বিজয়সরণী থেকে ওঠার মুখে অপেক্ষা করছিলো বেশ কয়েকটি গাড়ি।

অপেক্ষায় থাকা গাড়ির চালকরা জানান, ভালো লাগছে, প্রথম এ পথে যানজট ছাড়া গাড়ি চলতে পারবো এটা ভেবেই ভালো লাগছে।

সিটি নিউজ ঢাকার প্রতিবেদক জানান, প্রথম মাইক্রোবাসে চড়ে গন্তব্য বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে এগারো কিলোমিটার রাস্তা। ৮০ টাকা টোল দিয়ে গাড়ি ছুটে চলেছে মহাখালী-বনানী ও কুড়িল হয়ে বিমানবন্দরের দিকে। এ যেন শহরের ছাদের ওপর দিয়ে উড়ন্ত যাত্রা। পথে চোখে পড়লো এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েকটি ওঠা ও নামার পার্শ্বসড়কও। মাত্র ১২ মিনিটে বিমানবন্দর। এবার একই গাড়িতে কাওলা থেকে টোল দিয়ে আবার ফিরতি যাত্রা। ফার্মগেট পর্যন্ত পৌঁছাতে মাত্র ১১মিনিট সময় লাগল; তবে গাড়ির গতিরও উপর নির্ভর করবে সময়টা। প্রথম দিনের প্রথম প্রহরে এ যাত্রায় যাত্রী ও চালকদের চোখে মুখে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। যানজটের নগরীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যেন স্বস্তির বার্তা দিয়েছে তাদের।

মতিঝিলে আসা এক নারী বাস যাত্রী জানান, প্রতিদিন অফিসে বিমানবন্দর এলাকাতে আসতে দুই ঘণ্টা বেশি সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হতো, এখন আর সেই সময় লাগবে না। এটা ভেবেই ভালো লাগছে।  অফিসে কাজের গতিও বেড়ে যাবে।

এক শিশু শিক্ষার্থী জানায়, খুব কম সময়ে স্কুলে যেতে পারবো তাই ভালো লাগছে।

গাড়ির চালকরা আরও জানান, অল্প সময়ে যেতে পারব, এটা ভেবেই ভালো লাগছে। এমনও সময় গেছে দুই থেকে আড়াই বা ৩ ঘণ্টাও সময় লেগেছে এই পথে। এখন ১০ থেকে ১১ মিনিটে চলে যেতে পারব।

ফার্মগেটে নামার পথে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের। তিন চাকার যান চলাচলে অনুমতি নেই; তাই আক্ষেপ তাদের। তারাও চান এ পথে গাড়ি চালাতে।

আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তখন এর পুরো সুফল পাবে নগরবাসী।

গতকাল শনিবার বিকেলে কাওলা প্রান্তে টোল দেয়ার পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গাড়িবহর নিয়ে পাড়ি দেন ফার্মগেট প্রান্ত। 

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ