 
              প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
 
                 
                            
              বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্যে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেছেন, “ড. ইউনূসের বক্তব্যে আমরা খুবই আশাবাদী।
যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত ও আমাদের সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই, কেবল একটি ভুল বোঝাবুঝি। ’ আমাদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন শক্তিগুলো বিষয়টি আরও খারাপ করে তুলতে পারে। তবে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সক্ষম হওয়া উচিত। ”
শুক্রবার (৭ মার্চ) দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন।  
তিনি বলেন, ‘(বাংলাদেশের) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমরা এখনও উদ্বিগ্ন। আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন করি। ’
গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সব ধরনের সংকট সমাধান করার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাবি করেন, (বাংলাদেশে) গুরুতর অপরাধের জন্য দণ্ডিত সহিংস উগ্রপন্থিদের মুক্তির ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন’। যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে তাহলে এর পরিণতির প্রভাব ভারতেও পড়বে। মানুষ ভারতে আশ্রয় চাইবে এবং এই উপলব্ধি সেসব দেশগুলোর মাধ্যমেই আসতে হবে।
বাংলাদেশে ‘হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা’র অভিযোগ প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল জানান, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের পুলিশ গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ২ হাজার ৩৭৪টিরও বেশি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ২৫৪টি যাচাই করতে পেরেছে। তদন্তে দেখা গেছে, ঘটনাগুলোর ৯৮ শতাংশই ‘রাজনৈতিক কারণে’ সংঘটিত হয়েছে।
জয়সওয়াল উল্লেখ করেন, তারা আশা করছেন কোনো ধরনের পার্থক্য না করেই হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে বাংলাদেশ এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি সম্পর্কে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র।
চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠকটি গতকাল ৬ মার্চ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষ গঙ্গার জল চুক্তি, জলপ্রবাহ পরিমাপ এবং পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      