 
              প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
 
                 
                            
              আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা।
রোববার (১১ মে) সকাল থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
আন্দোলনরত আহতরা বলেন, কোনো দলের ব্যানারে জুলাইকে হারিয়ে যেতে দিতে চান না তারা। আহতরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ বা তাদের দোসরদের কোনোভাবেই পুনর্বাসন করা হবে না বলেও জানান তারা।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়; আইন প্রয়োগের মাধ্যমে চিরতরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। তারা জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ফয়সালা ছাড়া রাজপথ ছাড়বেন না তারা। এছাড়া রাজপথে থাকাকালীন-ই জুলাই ঘোষণাপত্র চান তারা।
এসময় আহতদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা দাবি করেন তারা। দাবি তোলেন দ্রুত বাস্তবায়নের এবং আজীবন চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিতের। যতদিন তাদের এসব দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততোদিন রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
অবরোধের কারণে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে তীব্র স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আহতদের পরিবার ও সহকর্মীরাও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
শাহবাগ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনকারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। শনিবার সারাদিন দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ করেন তারা। আয়োজিত ওই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      