
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এমন ঘোষণা দেন তিনি।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ।
এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, গত ১০ মাসে দুই শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না প্রশাসন। আমরা অবিলম্বে সব হল ও ঢাবি প্রশাসনের সব পদ থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শাহরিয়ার আলম সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাম্যের বন্ধু ও সহপাঠী আশরাফুল ইসলাম রাফি জানান, ঘটনা রাত সাড়ে ১১টার। সাম্যের সঙ্গে তিনি এবং তাদের আরেক বন্ধু বায়েজীদ ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে একটি মোটরসাইকেল করে বের হচ্ছিলেন তারা। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্য একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে অন্য মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা কাটাকাটি হয়। যা মারামারিতেও রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দলটি।