• ঢাকা সোমবার
    ২১ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রধান আসামি মহিনের দায় স্বীকার

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রধান আসামি মহিনের দায় স্বীকার

সিটি নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে এক পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামি মহিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১০ জুলাই প্রথম দফায় পাঁচদিন ও ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মহিনের আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় গ্রেফতার ৯ আসামি হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। এদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব কারাগারে আটক রয়েছে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ