
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
হিটলার বেঁচে থাকলে হয়তো শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যার পিএইচডি করতে আসতেন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গুম-খুন চাঁদাবাজি, টাকা পাচার করা হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধেই ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন। স্বৈরাচারদের যদি কোনো সমিতি করা হয়, শেখ হাসিনা সেই সমিতির সভাপতি হতে পারেন। আর মিথ্যার পিএইচডি করার জন্য হিটলার বেঁচে থাকলে হয়তো শেখ হাসিনার কাছে আসতেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে গুম-খুনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছিলে। অভ্যুত্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞের দায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তবে এ শাস্তি যেন আইনি পরিকাঠামোয় হয়। আগামী প্রজন্মের জন্য ন্যায়বিচার চাই।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিগত আমলে গুম খুনের পলিটিকাল কালচার সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এমন একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যেখানে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ নেই, আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে এসেছি। আমরা ন্যায় বিচার চাই। দেশের মানুষের স্বপ্নের বিচার চাই। আমরা ন্যায়বিচার চাইব, ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়েই আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাইব।
এর আগে, গত ১০ জুলাই এ মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টের আন্দোলন ১ হাজার ৪০০ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা, হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া সেদিন (১০ জুলাই) ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক এই আইজিপি।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালীন আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য। এ ঘটনায় আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি। আমি রাজসাক্ষী হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালীন যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিস্তারিত আদালতে তুলে ধরতে চাই। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।