
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সমন্বয়কদের যোগাযোগ চলতে থাকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মিটিং-ও করেন তারা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে দেয়া জবানবন্দিতে এ কথা উল্লেখ করেছেন এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
তিনি তদন্ত সংস্থাকে বলেছেন আন্দোলনের শুরুর দিককার কথা। কীভাবে তারা আন্দোলনে সমন্বয়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন, তার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন লিখিত বক্তব্যে। উপদেষ্টা বলেছেন, কীভাবে উত্তাল সেই দিনগুলোতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের সামনে সাহস নিয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তারা।
লিখিত জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) নিজেদের স্বার্থে সামরিকীকরণ করে ব্যবহার করতো। তাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘর’-এর কথাও উঠে আসে জবানবন্দিতে।
নিজের গুমের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯ জুলাই তিনি গুমের ভয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করার চেষ্টা করছিলেন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ব্যবহার করতে হয়েছিল সেলুলার নেটওয়ার্ক। সেই সুযোগে ফোন ট্র্যাক করে ডিজিএফআই তাকে তুলে নেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের পতনের পর আয়নাঘর পরিদর্শনে গেলে তাকেও যে তেমনই এক ঘরে রাখা হয়েছিল, তা তিনি বুঝতে পারেন।
আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা সরকার ও সে সময়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে জবানবন্দিতে তিনি এমন ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।