
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই। চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কার্জন হলে ভুলক্রমে একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবুও এই ঘটনার আমরা পুনরায় তদন্ত করে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন এখন দেশের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আশা করছি, যিনি জিতবেন এবং যিনি বিজেতা হবেন, সবাই ফলাফল মেনে নেবেন।
এদিকে, এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে এবার লড়ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৫, জিএসে ১৯ এবং এজিএসে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯, আর ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত ‘আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদ’ থেকে ভিপি পদে আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ আলোচনায় আছেন।
ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস প্রার্থী হিসেবে মহিউদ্দিন খান লড়ছেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী হিসেবে আবু বাকের মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে জিএস মাহিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তবে তিনি জিএস পদে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা; ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু লড়ছেন।