 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
 
                 
                            
              ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বা বাসসের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই খবরে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলার শেষ (৫৪ তম) সাক্ষী হিসেবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। তৃতীয় দিনে আজ তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হলে জেরা শুরু করেন পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী। জেরার পরবর্তী অংশ শুরু হবে আগামী সোমবার।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ দেওয়া জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশঙ্খলা বাহিনী এবং সরকার দলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা দেশের ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্পটে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে। এছাড়া ৫০টিরও অধিক জেলায় আন্দোলনকারীদের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      