
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। আজ এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর এই মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড চান।
এই মামলায় মোট তিনজন আসামি। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বাইরেও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রয়েছেন। মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, তারা মনে করেন সাবেক আইজিপি মামুন ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণ সত্য প্রকাশ করেছেন জবানবন্দিতে। তার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটা ট্রাইব্যুনাল বিবেচনায় নেবেন।
পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় চান। ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।