
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন। এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের কার্গো ভিলেজে এই আগুনের তীব্রতা দেখা যায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটকে কাজ করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ছাড়াও, ঢাকা ওয়াসার একের পর এক পানির গাড়ির মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসকে পানি দিতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়।
আগুন নেভাতে গিয়ে ২২ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জন আনসার সদস্য এবং সাতজন ফায়ার সার্ভিসে সদস্য রয়েছেন। শনিবার বিকেলে আনসার ও ভিডিপির গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত এক হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় ফায়ার সার্ভিসের ৭ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আগুনের কারণে বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকাগামী আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর ও একটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ট্যাক্সিওয়েতে আটকে আছে।
এখন পর্যন্ত ফ্লাইট রেডারে শাহজালাল বিমানবন্দরে বন্ধ দেখাচ্ছে বিমান চলাচল। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কার্গো ভিলেজ এলাকার আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্বাভাবিক ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু হবে।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরের কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগুন মূলত কার্গো ভিলেজ এলাকায়, যাত্রী টার্মিনালে এর প্রভাব পড়েনি। তবে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনসহ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্য ইউনিট যোগ দেয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে।