• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন, প্রত্যাশা আইনজীবীর

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৯:১৯ এএম

শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন, প্রত্যাশা আইনজীবীর

সিটি নিউজ ডেস্ক

ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস পাবেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই জানিয়েছেন আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

তিনি বলেন, আমার তো প্রত্যাশা শেখ হাসিনা খালাস পাবেন। আমি মনে করি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নিরপরাধ ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনীত হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। সাক্ষ্যে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হননি রাষ্ট্রপক্ষ। আমার অভিমত, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জমান খান খালাস পাবেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন। ট্রাইব্যুনালের এ কার্যক্রম টেলিভেশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। 

দুপুরের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আইনজীবী আমির হোসেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। 

স্টেট ডিফেন্স আমীর হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব চার্জ (অভিযোগ) আনা হয়েছে, এগুলো সঠিক নয়। আমার অভিমত, সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। যেহেতু সাক্ষ্য-প্রমাণে তা প্রমাণ হয়নি, সেহেতু আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস প্রত্যাশা করি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) টানা পঞ্চম দিনে এসে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে প্রসিকিউশন। পরে সেদিনই আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সোমবারের দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এই মামলায় প্রসিকিউশন থেকে ৫৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে মামলার মূল দুই আসামি পলাতক থাকায় কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাননি তারা।

সবশেষ বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ পর্যায়ে শুনানিতে অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ১৪শ’ বার ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত বলে মন্তব্য করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেই সঙ্গে এদিন শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ডের সাজার আবেদন করে প্রসিকিউশন। এছাড়াও ফ্যাসিস্টের মাস্টারমাইন্ড ও তাদের দোসরদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জুলাইয়ে শহিদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিও জানানো হয় আদালতে।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ