প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ঐক্য প্রতিষ্ঠার বদলে ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ পেশ করেছে। সুপারিশে সংবিধান সংস্কার পরিষদ নামে নতুন একটি আইডিয়া সংযুক্ত করা হয়েছে, যা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হয়নি৷ যেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি, সেটা তারা চাপিয়ে দিতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, সুপারিশে বলা হয়েছে, নিন্মকক্ষে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে৷ ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত তো হয়নি। পিআরের প্রস্তাব তারা সরাসরি সুপারিশ করে ফেললেন, নোট অব ডিসেন্ট বিষয়টি উল্লেখ ছাড়াই।
সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, প্রস্তাবিত সংস্কার বাস্তবায়নে ২৭০ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে, না হলে সংবিধানে তা অটো গৃহীত হবে, এটা হাস্যকর! পরীক্ষায় অটোপাশের মতো সংবিধানে কোনও কিছু সংযুক্ত হতে পারে না।
ঐকমত্য কমিশন কিছু সুপারিশ দিয়ে নিষ্কৃতি পেতে চেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা। বলেছেন, আমরা আশা করি যথাযথ প্রক্রিয়ায় এ সুপারিশগুলো বিবেচনা করা হবে এবং আইনানুগ ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ পাবো।
সালাহউদ্দিন আহমদ বললেন, জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভাটের মাধ্যমে জনগণ যদি সম্মতি দেয়, পরবর্তী সংসদ তা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। যেভাবে জুলাই সনদ সাক্ষরিত হয়েছে, যেভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, নোট অব ডিসেন্টসহ সেভাবেই।