• ঢাকা সোমবার
    ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

বাগেরহাটে ৪ সংসদীয় আসন থাকবে: হাইকোর্ট

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম

বাগেরহাটে ৪ সংসদীয় আসন থাকবে: হাইকোর্ট

সিটি নিউজ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট অবৈধ ঘোষণা করে বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে বাগেরহাটের সংসদীয় আসন সংখ্যা তিনটিতে নামিয়ে আনার ইসির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে গেল।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে আসন সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। ওই গেজেটে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসনে ভাগ করা হয় এবং পূর্বের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়। এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাসের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জেলা ট্রাক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করা হয়েছিল।

এই রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

আসন কমানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ব্যানারে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, ইসির আসন পুনর্বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে।

রায় ঘোষণার মাধ্যমে বাগেরহাটে ১৯৬৯ সাল থেকে চলে আসা চারটি সংসদীয় আসন বহাল রইল। পূর্বের সীমানা অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা নিয়ে গঠিত।
 

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ