• ঢাকা সোমবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দের আদেশ, অবরুদ্ধ ৫৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দের আদেশ, অবরুদ্ধ ৫৪ কোটি টাকা

সিটি নিউজ ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নামে গাজীপুরে থাকা ৩৬ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ৫৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ আইএফআইসি ব্যাংকে তার নামে থাকা একটি একাউন্ট অবরুদ্ধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য জানান। 

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এ আবেদন করেন। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ব্যাংক হিসাবের অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং স্থাবর সম্পদের অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তরের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। এজন্য স্থাবর সম্পদসমূহ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ/ব্যাংক হিসাবটি অবরুদ্ধ করা একন্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল জালিয়াতির মাধ্যমে মর্টগেজ সম্পত্তিকে অতিমূল্যায়িত করে বন্ডের বিপরীতে বিনিয়োগকারীর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।

এ মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ না করেই- প্রস্তাবিত মর্টগেজ সম্পত্তি সরেজমিনে পরিদর্শন বা মূল্য যাচাই না করেই অস্বাভাবিক অতি মূল্যায়ন করে ৮৭ কোটি টাকার জমিকে এক হাজার ২০ কোটি টাকায় মূল্যায়ন করেছে।

অন্যদিকে, অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মালিকানাধীন মাসখানেক আগে রেজিস্ট্রিকৃত কথিত কোম্পানির তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের চলতি হিসাবে জমা করে। সেখান থেকে রিডেশন রাউন্ডে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর করে অবশিষ্ট ৮০০ কোটি টাকা (সরকারি অর্থ) বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাবলী উপেক্ষা করে নগদে ও বিভিন্ন রকম সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আর্কাইভ