প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক লুণ্ঠিত সব অস্ত্র উদ্ধার এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত রাখতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং র্যাবের মহাপরিচালক বরাবর রেজিস্ট্রি ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে এ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তিনি হাইকোর্টে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন।
নোটিশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত জুলাই সনদের ওপর গণভোট যথাসময়ে অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশ পাঠানোর পর আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের পর ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও দেশে এক গভীর নিরাপত্তা সংকট ও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বিপ্লব পরবর্তী অস্থিতিশীল সময়ে দেশের বিভিন্ন থানা ও নিরাপত্তা স্থাপনা থেকে বিপুল পরিমাণ মারণাস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়ে যায়, যার একটি বড় অংশ আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের হাতে থাকায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা আজ চরম হুমকির মুখে। এরই মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতা ও প্রাণের ঝুঁকি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
নোটিশে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় নির্বাচনী মাঠ এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি সন্ত্রাসীদের গুলিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করে নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা প্রার্থীদের প্রাণনাশের কারণ হবে এবং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকদের ‘জীবনের অধিকার’ লঙ্ঘন করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জুলাই সনদ গণভোট’ একটি জাতীয় ঐকমত্যের বিষয় এবং রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ, তাই এতে সহিংস প্রতিযোগিতার সুযোগ নেই। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রক্রিয়া। তাই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।