প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
এবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানির সুযোগ দেওয়া এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার উদ্বেগের জবাব দিলো নয়াদিল্লি। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে ভারত তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত প্রেস নোটে যে বক্তব্য দিয়েছে, ভারত তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে ভারতের অবস্থান আমরা ধারাবাহিকভাবে পুনর্ব্যক্ত করে আসছি।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারত কখনোই তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশের বন্ধুসুলভ জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের সুযোগ দেয়নি।
ভারত আশা করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে, আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য ও আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগের সদস্যরা বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ভারত সরকারকে এসব ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, শরীফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া রোধে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সেইসাথে, শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বানও জানানো হয়। বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই প্রত্যাশিত।