প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১, ১০:৪৪ এএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডায়েটসহ চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি বাতলে দিয়ে আলোচনায় আসেন
ডা. জাহাঙ্গীর কবির। ফেসবুক ও ইউটিউবে লাখ
লাখ অনুসারী রয়েছে তার। বিভিন্ন বিষয়ে
ডা. জাহাঙ্গীরের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হন
অনেকে।
কিন্তু
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ‘অবৈজ্ঞানিক
চিকিৎসাসেবা’-এর অভিযোগ এনেছিল
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। সেটা নিয়ে
নানা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ কেউ জাহাঙ্গীর
কবিরের চিকিৎসা সনদকেও ভুয়া বলেছেন।
এমন
অভিযোগ ওঠায় ভীষণ কষ্ট
পেয়েছেন জানিয়ে ৭ আগস্ট লাইভে
আসেন তিনি। লাইভে এসে ‘ভুয়া সনদের
অভিযোগ’-এর জবাবও দিয়েছেন
আলোচিত এই চিকিৎসক।
ডা.
জাহাঙ্গীর বলেন, অনেক গণমাধ্যমে লেখা
হয়েছে, বিএমডিসি থেকে আমাকে উকিল
নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা অসত্য। ব্যক্তিগতভাবে
তারা আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন,
উকিল নোটিশ নয়। এ ছাড়া
সেই সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক
জায়গায় লেখা হয়েছে, আমার
সার্টিফিকেট নাকি ভুয়া। এটা
আমার বাবা-মা ও
পরিবারকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।
ফেসবুক
লাইভে এসে ডা. জাহাঙ্গীর
একে একে তার সবগুলো
সার্টিফিকেট দেখান। তিনি বলেন, ২০০০
সালে আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন
করেছি।
এছাড়া
বিভিন্ন সময় নেয়া ট্রেনিংয়ের
মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সার্টিফিকেট, এফসিজিপি ট্রেনিং, বারডেমের সিসিডি কোর্স, ওপেন ইউনিভার্সিটি ইউকে
থেকে ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার ট্রেনিং।
সেই সঙ্গে দেশি-বিদেশি ট্রেনিংয়ের
সনদ, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ, পোস্টার প্রেজেন্টের সদন ভিডিওতে দেখান
তিনি।
ডা.
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আপনাদের
কাছে আমার একটাই আবেদন,
আমার ডিগ্রিগুলো সঠিক না হলে
আমি কীভাবে ২০ বছর ধরে
প্র্যাকটিস করছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছি? কীভাবে
পেজেন্টেশন দিয়েছি? আমি বিভিন্ন মেডিকেল
কলেজে সেমিনার করেছি। এই বিষয়গুলো আমি
বলার চেষ্টা করেছি। এরপর আপনাদের মনে
আর কোনো সন্দেহ থাকবে
না। আমি আশা করব,
আপনাদের সব বিভ্রান্তি দূর
হবে।’
এই
চিকিৎসক বলেন, ‘উত্থাপিত অভিযোগের জবাব দিতে দ্বিতীয়বার
আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমি আমার কথা
বলে দিয়েছি। এ নিয়ে ভবিষ্যতে
আর কোনো কথা বলতে
চাই না। কারণ এর
চেয়ে স্পষ্টভাবে জবাব দেয়া সম্ভব
নয়। আজ থেকে আমি
আমার প্যাডে এমবিবিএস ছাড়া আর কোনো
সনদের কথা উল্লেখ করব
না।’
এর
আগে গত ৩ আগস্ট
প্রকাশ করা একটি ফেসবুক
পোস্টে ‘চিকিৎসক সমাজের সবাই সহকর্মী, একে
অপরের সহযোগী’ বলে মন্তব্য করেছেন
ডা. জাহাঙ্গীর।
গত
১ আগস্ট জাহাঙ্গীর কবিরের কর্মকাণ্ডকে অবৈজ্ঞানিক, অসত্য, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
হিসেবে উল্লেখ করে চিঠি দেয়
চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ফাউন্ডেশন
ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এফডিএসআর)। এ ছাড়া
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের
(বিএমডিসি) আবেদন ও অনুমোদন ছাড়াই
ডা. জাহাঙ্গীর কবির চারটি ডিগ্রি
ব্যবহার করছেন অভিযোগ করে, এ বিষয়ে
ব্যাখ্যা চেয়ে তাকে চিঠি
দেয় বিএমডিসি।
টিআর/এম. জামান
