• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে ভয় পায় : মান্না

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, ০৯:১০ পিএম

সরকার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে ভয় পায় : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘অপশাসন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ জেগে উঠলে সরকার গদি টিকিয়ে রাখতে পারবে না। তাই তারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে ভয় পায়। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) নাগরিক ছাত্র ঐক্য আয়োজিত কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার গত এক যুগের বেশি সময়ের অপশাসন, দুঃশাসনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখান ইউনিয়নের সারডোব উচ্চবিদ্যালয়ের উদাহরণ টেনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘একটা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ৯ জন ছাত্রীর মধ্যে আটজনেরই এই করোনাকালে বিয়ে হয়ে গেছে। দেড় বছর পর বিদ্যালয় খোলার পর কেবল একজন ছাত্রী শ্রেণীকক্ষে ফিরেছে। এটা সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। ভোট ডাকাত স্বৈরাচার সরকার করোনা মোকাবেলায় নিজেদের সফল দাবি করে। অথচ পৃথিবীর কোনো দেশে এত দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘করোনায় দেশে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এক দিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই দুইয়ের কারণে আজকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। অথচ এ ব্যাপারে সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। কারণ ক্ষমতাসীনেরা জাতিকে মেধাশূন্য করতে চায়। তাদের একমাত্র লক্ষ্য অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা।’

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির অতীত ঐতিহ্যকে স্মরণ করে ডাকসুর সাবেক দুইবারের এই ভিপি বলেন, ‘সরকার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে ভয় পায়। তারা জানে, সরকারের এই অপশাসন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ জেগে উঠলে তারা তাদের অবৈধ গদি টিকিয়ে রাখতে পারবে না।’

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের সাবেক ভিপি জিন্নুর চৌধুরী দিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সম্পাদক আনিসুর রহমান খসরু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ