প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমার মনে হয় যারা বর্তমানে আমলা রয়েছেন তারা বাস্তবতা ধারণ করতে পারছেন না। সময়কে পড়তে পারছেন না। সময়ের প্রয়োজন যদি আপনি পড়তে না পারেন, আপনি যদি মান্ধাতার আমলের সিস্টেমকে বলবৎ করার জন্য পশ্চাৎপদতা থাকে, তাহলে এ সময়কে আপনি কখনওই ধারণ করতে পারবেন না। আর আপনি যদি যুগকে ধারণ করতে না পারেন, তাহলে এই যুগে আমরা যারা আছি তাদের ক্রোধ অবশ্যই বিস্ফোরিত হবে।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে এনসিপির প্রতিনিধি দলের বিসিএস পরীক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন হাসনাত।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, পিএসসি চায় আর্থিক অটোনমি, পিএসসি চায় ফাংশনাল অটোনমি, আর আমরা দেখি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সব জায়গায় এক ধরনের গুন্ডামি। সব জায়গায়। এরা একটা গুণ্ডামি চালায়, সব কিছুতে। প্রত্যেকটা ফাইল ওখানে দিন শেষে আটকায় দেয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এসব জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কারের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল সেটির মধ্যে আমার এক ধরনের অনীহা পেয়েছি। আর এ ফাইলও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লেজুড় বৃত্তি, এই টেবিল থেকে ওই টেবিল, এটাও ছয় মাস লেগে যাবে।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত, পোস্টিং প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত। ৫ অগাস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে তা আমলারা।
হাসনাত বলেন, কিন্তু আমরা দেখতে পেরেছি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোট বুকের মধ্যে প্রায়োরিটি লিস্টের মধ্যেই নেই।
অনেক আমলা নিজেরাই নিজেদের দুইটা তিনটা ‘পদোন্নতি দিয়েছেন’ অভিযোগ তুলে এনসিপি নেতা বলেন, কিন্তু তাদের নোটবুকে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কোন পরিকল্পনা নাই।
চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা তুলে ধরে হাসনাত বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জুন মাসের ১৯ তারিখ ৪৩০টি পদের রিকুইজিশন দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল, যেটা ৪৪-এর জন্য। কিন্তু এর মধ্যে ৪৪ এর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, আবার পুনরায় ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু সচিবালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত ৫ মাস সময় চলে গেছে। বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
বিসিএসের বিষয়ে পিএসসির তরফ থেকে আন্তরিকতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চাকরি বিধি সংশোধন প্রয়োজন। যার এখতিয়ার রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে।
এর আগে সকালে চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা করতে পিএসসিতে আসেন হাসনাত আবদুল্লাহ, দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। এনসিপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পিএসসির কাছে ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।