• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সম্মান জানাতে ৮০৮ ছাগল দিয়ে মেসির মুখ

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম

সম্মান জানাতে ৮০৮ ছাগল দিয়ে মেসির মুখ

ক্রীড়া ডেস্ক

দারুণ সময় পার করছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। একের পর এক আন্তর্জাতিক শিরোপার তার হাতে শোভা পাচ্ছে। এরই মধ্যে আমেরিকার মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে অসাধারণ অভিষেক হয়েছে। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। অভিষেক ম্যাচে ফ্রি কিকে দর্শনীয় গোল করেছেন।। আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে মোট ৮০৮টি গোল করেছেন তিনি। মেসিকে ফুটবল বিশ্বের সর্বকালের সেরা (গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম বা গোট) ফুটবলার বলেন অনেকে। তাঁকে সম্মান দিতে তাই অভিনব উপায় বার করেছে একটি সংস্থা। ৮০৮টি ছাগল দিয়ে তাঁর মুখ এঁকেছে তারা।

সংস্থার বিজ্ঞাপন হিসাবে এই কাজ করেছে তারা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৮০৮টি ছাগল একসঙ্গে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাতে উপর থেকে দেখলে মেসির মুখ বলে মনে হয়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ক্রুজ় আজুলের বিরুদ্ধে ইন্টার মায়ামির হয়ে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামেন মেসি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে মেসিকে ফাউল করেন আজ়ুলের ফুটবলার। মেসি ফ্রিকিক নেন। গোলরক্ষকের ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এই ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস, হলিউড তারকা কিম কার্দাশিয়ানরা। মেসির গোল সামনে থেকে দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সেরেনা, কার্দাশিয়ান ছাড়াও সেখানে ছিলেন মায়ামির মালিক ডেভিড বেকহ্যাম এবং তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া। গোল দেখে সেরেনার এতটাই অবাক হয়ে যান যে, অনেকটা সময় মুখ বন্ধ করতে ভুলে যান। গোল দেখে তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। একই অবস্থা হয় কার্দাশিয়ানেরও। বেকহ্যাম এবং তাঁর স্ত্রী পাশাপাশি বসেছিলেন। মেসির গোলের পরেই ভিক্টোরিয়া জড়িয়ে ধরেন বেকহ্যামকে। বেকহ্যামও এই গোল বিশ্বাস করতে পারেননি। তিনি কেঁদে ফেলেন।

ম্যাচের পর বেকহ্যাম বলেন, “এই ধরনের ম্যাচ দেখা সত্যিই দারুণ। সাবেক খেলোয়াড় হিসাবে আপনার হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। খেলোয়াড় হিসাবে দল হারলে নিজের মধ্যে কিছু করার একটা ইচ্ছে থাকে। কিন্তু মালিক হিসাবে দর্শকাসনে বসে হা-হুতাশ করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু আজ মানুষের আনন্দ করার দিন। এই দিনটার কথা কল্পনা করেই তো আমি, জর্জ (মেসির বাবা) এবং জোসে (মাস, ইন্টার মায়ামির আর এক মালিক) মেসিকে এখানে এনেছি।”

অন্য দিকে মেসি বলেন, “আমি জানতাম যে, গোল আমাকে করতেই হবে। খেলার একদম শেষ পর্যায় ছিল ওটা। গোল করতে চেয়েছিলাম যাতে খেলা পেনাল্টিতে না গড়ায়। এই জয়টা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে এই জয়।”

আর্কাইভ