• ঢাকা বুধবার
    ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দ্রুতগতিতে বাড়ছে রাশিয়ার খাদ্য রফতানি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ১২:৫৯ এএম

দ্রুতগতিতে বাড়ছে রাশিয়ার খাদ্য রফতানি

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ার খাদ্য রফতানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে জ্বালানি তেল ও গ্যাস রফতানি আয়ের পর দেশটির বাজেটের তৃতীয় বড় উৎস হয়ে উঠেছে খাদ্য রফতানি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ান কাস্টমস সার্ভিসের ইন্টার্ম হেড রুসলাম ডেভিডভ।

তিনি বলেন,  আমাদের অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল রফতানি বেশ ভালোভাবেই বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বিষয়ে কথাও বলেছেন। আমরা গত বছরের তুলনায় কার্যত আমাদের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছি। বর্তমানে আমরা প্রধানত শস্য রফতানি করি। এটিই খাদ্য রফতানির সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে। তবে আমরা তৈলবীজ, মাখন, উদ্ভিজ্জ তেল, সূর্যমুখীও রফতানি করে থাকি। এগুলো হচ্ছে আমাদের প্রধান রফতানিযোগ্য পণ্য।

রাশিয়ার খাদ্যপণ্যের বৃহত্তম আমদানিকারক হিসেবে চীন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, মিশর এবং কাজাখস্তানের নাম উল্লেখ করেন ডেভিডভ।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে এই বাজারগুলোকে রাশিয়ার খাদ্য রফতানির ‘প্রচলিত বাজার’ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।’

সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওজনের দিক দিয়ে কৃষিপণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধির হার আগের কৃষি বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ।

রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি ২০২২-২৩ কৃষি বছরে (২০২২ সালে ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন) আর্থিক হিসাবে ৪১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৬০ মিলিয়ন টন শস্য বিশ্ববাজারে সরবরাহ করেছে।

এর আগে এক ঘোষণায় পুতিন বলেছিলেন, ২০২২ সালে কৃষি উৎপাদন সূচক ছিল ১১০ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে প্রায় ১৫৮ মিলিয়ন টন ফসল উৎপাদিত হয়েছে, যা আধুনিক রাশিয়ার ইতিহাসে একটি রেকর্ড।

এ বিষয়ে বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাম্পার শস্য ফলনের কারণে বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারক হিসেবে রাশিয়ার তার অবস্থান দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছে। সেই সঙ্গে ইউক্রেন সংঘাতের ফলে বিশ্ববাজারে যে খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল, তা দেশটি কমাতে সহায়তা করেছে।  

রাশিয়ার রেকর্ড রফতানির কারণে বিশ্ববাজারে গমের দাম বর্তমানে প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ