
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ১২:০২ এএম
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) যদি বেশি শর্ত দেয়, তবে বাংলাদেশ আর এই ঋণ নিতে আগ্রহী থাকবে না। কারণ আইএমএফের সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে গেলে দেশের অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের জন্য অতিরিক্ত শর্ত চাপিয়ে দিলে বাংলাদেশ ঋণের চুক্তি থেকে সরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী একথা বলেন। সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদরা সরকারের প্রতি কৃষি খাতে বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের আহ্বান জানান। তারা পোল্ট্রি খাতে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট হ্রাস, কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি ও প্রণোদনার সুযোগ বাড়ানোরও সুপারিশ করেন।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। এর প্রস্তুতি নিতে অর্থনীতির বেশ কিছু দুয়ার খুলে দিতে হচ্ছে। অনেক খাতে সংস্কার করতে হচ্ছে।
বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে। এর আওতায় তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করেছে আইএওমএফ। শর্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংস্থাটি ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় করেনি। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি আগামী জুনে এক সঙ্গে ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণের শর্তের বিষয়ে আইএমএফের সমঝোতা হয়নি। এ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।