প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১, ০৮:২০ পিএম
ডিজেল, কেরোসিন, এলপি গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের প্রতিবাদে মাগুরায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
অধ্যক্ষ
কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন- প্রকৌশলী সম্পা বসু, হিমাংশ দেব
বর্মণ, এ টি এম মহবত আলী
প্রমুখ।
সমাবেশে
বক্তারা বলেন, পাশের দেশে তেল পাচারের
ও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার শুধু বিভিন্ন
পর্যায়ে শুল্ক ১৭ টাকা কমালে
মূল্যবৃদ্ধির কোনো দরকার নেই
বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন। সরকারি শুল্ক ও অন্যান্য খরচ
কমালে দাম না বাড়িয়ে
বরং কমানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে এখন সরকার লস
করছে সেই কথা বলছে।
কিন্তু গত ৭ বছর
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকার
পরও দেশে দাম না
কমিয়ে সরকার ৪০ হাজার কোটি
টাকার বেশি মুনাফা করেছে।
এই মুনাফার একটা অংশ এখন
ভর্তুকি হিসেবে দিলেও দাম বাড়ানোর প্রয়োজন
হতো না। তেল পাচারের
অজুহাতও ভুয়া। কারণ তেল
পকেটে করে পাচার করা
যায় না। তাহলে জনগণের
ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেয়া পুলিশ,
বিজিবি কেন পাচার রোধ
করতে পারে না?
বক্তাগণ
আরও বলেন, জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন
ও ফার্নেস অয়েলের মূল্যবৃদ্ধির
অভিঘাত দেশের ১৭ কোটি মানুষের
ওপর পড়বে। কারণ ডিজেলের ওপর
আমাদের কৃষি, পরিবহন, শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন
নির্ভরশীল। এক দিকে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, এলপি গ্যাসের দাম
এক মাসের মধ্যে দুইবার বৃদ্ধি
অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যের অস্বাভাবিক
দামে জনজীবন অতিষ্ঠ। ফলে মূল্যবৃদ্ধির
প্রভাবে এই করোনাকালে আয়
কমে যাওয়া, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের
জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে।
বক্তারা
অবিলম্বে জ্বালানি তেল, এলপি গ্যাসের
মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত
প্রত্যাহার করে গ্রাম-শহরে
রেশনিং চালু, শুল্কসহ অন্যান্য সরকারি খরচ কমিয়ে জ্বালানি
তেলের দাম কমিয়ে জনগণের
ভোগান্তি কমানোর আহ্বান জানান।
নূর/এম. জামান