প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ১২:৫৯ এএম
কুষ্টিয়ায় এক
নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন
আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক
বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪
নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল
ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাদুর ছেলে কাবুল ওরফে কালু, একই উপজেলার চাঁদগ্রামের বিশুর ছেলে মোস্তাক আলী মস্তান, তার ছেলে গোলাম রেজা রোকন এবং সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে মিলন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাবুল ওরফে কালু এবং মিলন আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে গোলাম রেজা রোকন ও মোস্তাক আলী মস্তান পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে
জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার আল্লাহর দর্গা গ্রামে একটি
সিগারেট ফ্যাক্টরির পাশে ছেলেমেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি
পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারায় একটি ডালের মিলে
চাকরি করতেন। ২০০১ সালের ১২ আগস্ট বিকেলের দিকে বাসা থেকে কর্মস্থল ভেড়ামারার
উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরদিন তিনি বাসায় না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু
করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, ভেড়ামারা
উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় জনৈক আকরাম আলীর বাড়ির পাশে একটি বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে
তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুপ্রস্তাবে
রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে নিহতের মা বাদী
হয়ে সাতজনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ভেড়ামারা থানা
পুলিশের আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ
শেষে ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন।
কুষ্টিয়া জেলা ও
দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী
জানান, রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কালু এবং মিলন আলীকে পুলিশ
পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
এস/এম. জামান