প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২২, ১২:৪৯ এএম
                 
                            
              ঢাকা-বরগুনাগামী
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এখনও ঘুমের মধ্যে
কেঁদে ওঠেন ওই লঞ্চের যাত্রী ইতালি প্রবাসী সাদেক মৃধা ও তার স্ত্রী।
লঞ্চে
অগ্নিকাণ্ডের সময় সুগন্ধা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচেন তারা। সিটি নিউজ ঢাকাকে তাদের বেঁচে
ফেরার সেই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিলেন এই দম্পতি। 
ঘটনার
বর্ণনা দিয়ে সাদেকের স্ত্রী বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর আমার স্বামী সাদেক মৃধা ইতালি থেকে
বাংলাদেশে আসেন। আমি ও আমার ছোটভাই তাকে এগিয়ে আনতে ঢাকা যাই। সেদিন রাজারহাট বি লঞ্চে
ভিআইপি যাত্রী থাকায় কোনো কেবিন না পেয়ে আমরা এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে একটি ভিআইপি কেবিনে
উঠি। রাত ২টার দিকে আমার স্বামী কেবিনের বারান্দায় গিয়ে লঞ্চের পেছনে আগুন ও যাত্রীদের
চিৎকার শুনতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে আমাকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন।’
তিনি
আরও বলেন, ‘আমার শুধু ভ্যানিটিব্যাগ ছাড়া আর কিছুই আনা সম্ভব হয়নি। ভাগ্যিস সেই ব্যাগে
আমার স্বামীর পাসপোর্টটি ছিল। আমরা জীবনে বেঁচে আছি- এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায়
করছি।’
তিনি
সিটি নিউজ ঢাকাকে আরও বলেন, ‘মুহূর্তের মধ্যেই আগুন সারা লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। ইঞ্জিন রুম
থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে হয়। পরে কী হয়েছে আমি আর কিছুই বলতে পারব
না।’
বরগুনা
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ জন নিখোঁজ যাত্রীর
দাবিদার ৪৮ জন স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ
তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 
সিআইডির
অতিরিক্ত আইজিপির নির্দেশে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট
তাজুল ইসলাম এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
প্রসঙ্গত,
গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে
৩৭ জনেরই বাড়ি বরগুনায়। এ ছাড়াও আহত রয়েছে শতাধিক যাত্রী, নিখোঁজও আছেন অনেকে।
এএমকে/এম. জামান