• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

‘প্লিজ তোমরা গেটটা খুলে দাও’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২, ০১:৩৩ এএম

‘প্লিজ তোমরা গেটটা খুলে দাও’

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান আন্দোলনে এবার শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়লেন শিক্ষকেরা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষকেরা উপস্থিত হন। সেখানে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে অনশন করছে স্বীকার করে এক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘তোমরা বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়েছ।’ তখন এক ছাত্রী বলেন, ‘পানির লাইন আমরা কাটিনি, আমরা শুধু বিদ্যুতের লাইন কেটেছি।’

এরপর ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমরা রিকোয়েস্ট করছি, প্লিজ তোমরা গেটটা খুলে দাও।’ এতে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যেতে চাইলে, আমাদের লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।’ এ সময় আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘এতগুলো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এ নিয়ে আপনাদের কোনো উদ্বেগ নেই, আপনাদের উদ্বেগ শুধু একজনের বাসভবনে বিদ্যুৎ নেই তা নিয়ে!’

শিক্ষকেরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখার দাবি করে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত তোমাদের খাঁজখবর রাখছি।’ কিন্তু তাদের এমন দাবি শিক্ষার্থীরা অস্বীকার করে বলেন, ‘আপনারা মিথ্যা বলছেন, আপনারা আমাদের কোনো খোঁজ রাখেননি।’

এর আগে সোমবার সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন শুরু থেকেই অহিংস। যে পুলিশ আমাদের গুলি মেরেছে, আমরা তাদের ফুল দিয়েছি। অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ পর্যায় হচ্ছে আমরণ অনশন। আমরা বিজয় আনতে পারব কিনা জানি না- তবে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের আন্দোলন সহিংস হবে না।’

তারা বলেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কবে বসা হবে সেটা জানি না। তবে যতক্ষণ না এক দফা দাবি আদায় না হবে আমাদের আন্দোলন চলবে।’

আন্দোলনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ রাজনৈতিক ইন্ধনের বিষয়ে শিক্ষার্থীর বলেন, ‘দিনে শিক্ষার্থীরা টিউশনি করায় বা অন্য কাজ করে। রাতে তারা ফ্রি হয়। ফলে এই সময়টায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ে। আন্দোলনে বহিরাগত কেউ নেই। এখানে সবাই শিক্ষার্থী। তা ছাড়া রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জানান, ভিসি অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলছে। এখন পর্যন্ত ২৮ জন শিক্ষার্থী এই অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন শিক্ষার্থী অনশন করছেন আর জন হাসপাতালে রয়েছেন।’

তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বডি কলাপস করছে। যে কোনো সময় আইসিইউতে নেয়া লাগতে পারে। সে জন্য আমরা দ্রুত সমাধান চাচ্ছি। সেটি শিক্ষামন্ত্রীও করতে পারেন কিংবা প্রধানমন্ত্রীও হস্তক্ষেপ করতে পারেন।’

এএমকে/ডা

আর্কাইভ