• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পুলিশি নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২, ১০:৪৫ পিএম

পুলিশি নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের অভিযোগ

দেশজুড়ে ডেস্ক

গাজীপুরে একটি মামলার বাদী অন্তঃসত্ত্বা নারী থানায় তথ্য নিতে গিয়ে নারী পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর দাবি- পেটে লাথিসহ শারীরিক নির্যাতনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গর্ভপাত হয়েছে তার। চার দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। 

ওই নারীর অভিযোগে জানা গেছে, নগরের কাশিমপুর থানার বাদী পার্লার ব্যবসায়ী লাবনী আক্তার গত ১ মার্চ তার আগের করা একটি মামলার বিষয়ে তথ্য নিতে যান থানায়। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি এক নারী কনস্টেবলের কাছে পাঠান। নাম-ঠিকানা ইত্যাদি লেখার বিষয় নিয়ে সেখানে দুজনের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, একপর্যায়ে পুলিশ সদস্য রুমা তাকে ধস্তাধস্তি করে দেয়ালে চেপে ধরে। এতে তার ঠোঁট ও নাক ফেটে যায়। তাকে ধাক্কা দিয়ে বারবার পেটে আঘাত করা হয়। ওই দিনই রক্তক্ষরণ ও প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে।

একাধিকবার শারীরিক পরীক্ষায় ওই নারীর গর্ভপাতের রিপোর্ট আসে। নির্যাতনের কারণেই তার গর্ভপাত হয়ে গেছে দাবি করে তার মা বলছেন, ‘পুলিশের নির্যাতনে ভুক্তভোগীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বহু কষ্টে ধারণ করা সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তারা নির্যাতনকারীর কঠিন শাস্তি চান।’ তবে নির্যাতনের ঘটনায় কিংবা গর্ভপাতের বিষয়ে তারা এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ কিংবা মামলা করেননি। লাবনী আক্তার জানান, তিনি হাসপাতালে থাকায় এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারেননি। তিনি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে পরে এ বিষয়ে মামলা করবেন।

চার দিন ধরে নির্যাতনের শিকার ওই নারী পুলিশ পাহারায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। আইনগতভাবে তিনি কোনো মামলার আসামি বা গ্রেফতার না থাকলেও কী কারণে পুলিশ পাহারায় রয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগীর দাবির প্রেক্ষিতেই নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানার সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, লাবনী আক্তার নিজেই পুলিশ কনস্টেবলের ওপর চড়াও হয়েছেন, ওই কনস্টেবলকে চেয়ার দিয়ে মারার চেষ্টা করেছেন। অভিযোগকারী কী প্রকৃত নারী, সেটা আপনারাও এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন। লাবনী আক্তার কিংবা তার পক্ষ থেকে তারা এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। 

ডা/এফএ
আর্কাইভ