• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জোয়ারের পানিতে কমলনগর মেঘনা উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম

জোয়ারের পানিতে কমলনগর মেঘনা উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদী সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানি কয়েক ঘণ্টা থাকার পর তা নেমে গেলেও স্থানীয় লোকজন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে।

তীর সংলগ্ন ফসলি জমিও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া নদীতে জোয়ারের তোড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সকাল থেকে কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, সাবের হাট, মাতাব্বর হাট, মতিরহাট, চরলরেঞ্চ, কালকিনি, এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি খুব সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদী ভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

তারা জানান, কমলনগর উপজেলার কালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটারীর হাট, চর ফলকন, চর মার্টিন, চর লরেঞ্চ ইউনিয়ন ও সাহেবের হাট, লুধুয়া বাজার, মাতাব্বার হাট, নাছির গঞ্জ এলাকার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়ে।

কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ এলাকার বাসিন্দা
আবদুল করিম বলেন, দুপুরে পানি উঠতে শুরু করে। বিকেল ৩টার দিকে পানি ঘরের ভেতর ঢুকে যায়। এতে শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ি। তাই সন্তান নিয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি। পানি নামলে ঘরে ফিরে যাব।

একই এলাকার বাসিন্ধা নুরজাহান আক্তার বলেন, জোয়ারের পানিতে রান্নার চুলা তলিয়ে গেছে। এতে রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা এমন পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন বলে জানান। এ ছাড়া গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানান নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা।

নাছিরগঞ্জ এলাকার খোরশেদা বেগম নামে এক নারী বলেন, গত দুইদিন ধরে জোয়ারের পানি তাদের ঘরে ঢুকে পড়ছে। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর পানি নামতে শুরু করে। পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ বেড়ে যায় তাদের।

চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দা কোরবান আলী বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় উপকূলীয় এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা হলে তারা জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পাবে। গত দুই দিন থেকে প্রতিদিন দুপুরে তাদের ইউনিয়নটি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। বিকেলের দিকে পানি নেমে পড়ে। আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।

কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বলেন, জোয়ারের পানি নামার সময় উপকূলে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। এতে অনেকের বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

আর্কাইভ