• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মাগুরায় সিত্রাংয়ের বৃষ্টি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২, ১০:১৯ পিএম

মাগুরায় সিত্রাংয়ের বৃষ্টি কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ

মাগুরা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ যখন ক্ষতির হিসাব করছে, তখন সিত্রাং‍‍`র প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির কারণে লাভের হিসাব করতে ব্যস্ত মাগুরার কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। তারা মনে করছেন, এই বৃষ্টি তাদের জন্য ক্ষতি নয় বরং আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক জানমাল ও ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে। কিছু কিছু এলাকায় ক্ষতি হলেও মাগুরার কৃষকরা এই বৃষ্টির কারণে তাদের ফসলের জন্য উপকার হয়েছে বলে মনে করছেন।

জেলায় এ বছর প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে আমন ধান চাষে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে কৃষকদের মধ্যে ধান চাষ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে করতে ধান রোপন করেছেন দেরিতে। তবে যারা একটু দেরি করে ধান রোপন করেছেন তাদের জন্য সিত্রাং এর বৃষ্টি উপকার হিসেবে দেখা দিয়েছে। সিত্রাং এর প্রভাবের সৃষ্ট এক দিনের বৃষ্টিতে সেচ দেয়ার খরচ থেকে রক্ষা পেয়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে একদিকে যেমন পোকামাকড়ের হাত থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষা পাবে । অন্যদিকে ধানের ভাল ফলন পাবেন বলেও আশা করছেন তারা। এই বৃষ্টির কারণে মাটিতে রস থাকায় আগামী রবি মৌসুমেও তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।

মাগুরা আঠারোখাদা গ্রামের কৃষক গোলজার হোসেন জানান, তিনি এ বছর এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। এই বৃষ্টি ক্ষেতে থাকা ধানে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি আমাদের সেচ অনেক কম লাগবে। এই বৃষ্টিতে আমাদের উপকার হয়েছে।

অপর কৃষক আফজাল হোসেন জানান, আমার এক বিঘা জমিতে ধান ও এক বিঘা জমিতে বেগুন লাগানো আছে। বৃষ্টিতে ফসলগুলোর জন্য অনেক উপকার হয়েছে। এছাড়া এক বিঘা জমিতে মসুড় ডাল আবাদের জন্য প্রস্তুত করছি। বৃষ্টির কারণে জমিতে জ এসেছে। আমার সেচ খরচ বেঁচে গেল।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান বলেন, জেলায় এ বছর প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ৫৮ হেক্টর জমির ধানসহ কিছুুু সবজি ফসলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।   তবে ধান পেকে যাওয়া ও বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ায় নুয়ে পড়া ধানের ক্ষতি হবে না বলে মনে করছি।

বৃষ্টির কারণে আগামীতে যারা তেল জাতীয় ফসল চাষ করবেন তাদের দু একদিন দেরি হলেও সেচ খরচ কমে যাবে পাশাপাশি তারা ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবে।

 

এসএই

 

 

আর্কাইভ