 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৪:৪০ পিএম
-20230205044012.jpg) 
                 
                            
              পার্বত্য অঞ্চলে মাথাচড়া দেওয়া নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেওয়া অনেকের বাড়ি বরিশাল বিভাগে বলে ধারণা করছে র্যাব-৮। এদের মধ্যে ১২ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। আরও ২৫ জনের তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কথিত সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইলে অস্ত্র প্রশিক্ষণের কিছু ভিডিও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩২ জঙ্গির নাম-পরিচয় পায় র্যাব। সেই ৩২ জনের মধ্যে ১২ জনের বাড়ি বরিশাল বিভাগে। আরও ২৫ জনের তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। যে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নিশ্চিত হলে সেই তথ্যগুলোও প্রকাশ করা হবে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, শনাক্ত হওয়া জঙ্গিদের একটি বড় অংশের বাড়ি বরিশাল বিভাগে হলেও এই অঞ্চলে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার কোনো গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে এসব জঙ্গির লক্ষ্য ছিল ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করার। আর শনাক্ত যে কয়জন বরিশাল অঞ্চলের জঙ্গি রয়েছে তাদের বরিশাল থেকেই যুক্ত করেছে এমন নয়, তাদেরকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি। এরা কার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনে পৌঁছালো এবং কারা এদের অর্থ সরবরাহকারী তাদের শনাক্তে কাজ চলছে। জঙ্গি সংগঠনে সম্পৃক্তদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি। জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিরা অনেক দিন আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল। যাদের পরিবারের অনেকেই থানায় জিডি করেছিলেন।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে- ধর্মের ভুল ব্যাখ্যায় তারা জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেন। এরা কেউ সংঘবদ্ধভাবে যাননি। তারা আলাদাভাবেই গিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ লেখাপড়া করতেন, কেউ ব্যবসা বা চাকরি করতেন। মূলত করোনাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পান অভিযুক্তরা।
পরিচয় পাওয়া ১২ জন হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাবাজ এলাকার বাসিন্দা রাক্কী আব্দুস সালাম ওরফে দুমচুক ওরফে রাসেল (২৮), সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামের ঝড়ঝড়িয়াতলা এলাকার মো. আরিফুর রহমান ওরফে লাইলেন (২৬), বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশীবপুরের ভবানীপুর গ্রামের মো. মাহমুদ ডাকুয়া ওরফে হাকা (২০), পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি গ্রামের আল আমিন ফকির ওরফে মোস্তাক (১৯), মিরাজ শিকদার ওরফে আশরাফ (২৬), পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মধ্য গছানিয়া গ্রামের শামীম মিয়া ওরফে আবু হুরায়রা ওরফে রাফি ওরফে চামদুর (২৫), একই থানার উত্তর লক্ষ্মীপুর দফিপুর গ্রামের হোসাইন আহমদ ওরফে রেকমি ওরফে প্যাদা (২১), মহিপুর থানাীন মহিপুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ সাকিব ওরফে শান্ত (২০), মির্জাগঞ্জ থানাধীন সুবিধখালী গ্রামের জুয়েল মাহমুদ (২৭), বরগুনা সদর উপজেলার বুরা মজুমদার এলাকার সোহেল মোল্লা ওরফে সাইফুল্লাহ (২২), ঝালকাঠি জেলা সদর থানার বাউকাঠি কালিকান্দা এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে মুরা (২৩), নলছিটি উপজেলার নাচনমহল গ্রামের মিলন তালুকদার ওরফে লামজল।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      