 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ১২:৫৭ এএম
-20230227125757.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুরে আবু ছায়েদ নামে এক দিনমজুরকে হত্যার ঘটনায় ফেরিওয়ালা মো. ইয়াছিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চাচাতো শ্যালিকাকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভায়রা আবু ছায়েদকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ইয়াছিন। এরপর থেকে তিনি পলাতক। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার দক্ষিণ দেউলিয়া গ্রামের মৃত আতিক উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় কাপড়ের ফেরিওয়ালা ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলমের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিনের চাচাতো শ্যালিকা ছায়েদের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। ছায়েদের প্রথম সংসারে থাকা সন্তানকে লালনপালন নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া লেগে থাকতো। এতে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন।
বিয়ে বিচ্ছেদের এক বছর পর ১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ছায়েদ তাদের প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বাড়িতে কাজ করতে যান। ওইদিন দুপুরের দিকে ওই বাড়িতে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতে আসেন ইয়াছিন। এতে শ্যালিকাকে তালাক দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ইয়াসিন তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ইয়াছিন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি কাঠ দিয়ে ছায়েদের মাথায় আঘাত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর ছায়েদের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় ইয়াছিনকে স্থানীয়রা আটক করলেও পরে তিনি পালিয়ে যান।
ঘটনার ২০ দিন পর ছায়েদের ছোট ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে ইয়াছিনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নেপাল রঞ্জন বড়ুয়া আদালতে ইয়াছিনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ইয়াছিনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      