• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম

বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

টানা ১৬ দিনের অসহনীয় গরমে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা; সেই সঙ্গে মানুষের কষ্টেরও কমতি নেই। তাই আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ ও বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে ওলামা পরিষদের আয়োজনে এ নামাজ আদায় করা হয়। ওই নামাজে জেলার সর্বস্তরের মুসল্লিরা উপস্থিত হন। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। পরে বৃষ্টি চেয়ে ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাতও করেন।

জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবির সভাপতিত্বে নামাজে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। এ নামাজ আগামী আরও দুই দিন পড়তে হবে বলে জানান ইমাম। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেও এই নামাজ মোট তিনদিন পড়তে হয়। আজ একদিন নামাজ আদায় সম্পূর্ণ হলো।

নামাজে অংশ নেওয়া চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার আব্দুল মালেক বলেন, খাঁ খাঁ রোদে দাঁড়িয়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য নামাজ আদায় করতে এসেছি। নামাজের কাছে রোদ ও ভ্যাপসা গরম কিছুই মনে হয়নি। আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি নামবে। জমিনে মানুষ প্রশান্তি পাবে। জেলার মানুষ তাপদাহে পুড়ছে।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি সেলিম বলেন, ‘নামাজে অংশ নিতে এসেছি। এটি একটি বিশেষ নামাজ।’

কুলচারা গ্রামের সবজি চাষি কাজল বলেন, ‘আমাদের মাঠে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। শুনলাম টাউন মাঠে বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে। তাই নামাজ পড়তে এসেছি।’

নামাজে অংশ নেয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই চুয়াডাঙ্গাতে বৃষ্টি নেই। আমরা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইলাম। আল্লাহ যেন আমাদের গুনাহ মাফ করে বৃষ্টি দেন।’


নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম মাওলানা বায়েজীদ হোসাইন বলেন, ‘রাসুল (সা.) তার সময়েও বৃষ্টির জন্য এই সালাত আদায় করতেন। আমরাও আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বৃষ্টি চাইলাম।’

নামাজের আয়োজক ও জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনায়েদ আল হাবিবি বলেন, ‘আল্লাহ কাছে চাইলে সবই পাওয়া যায়’। জেলাতে বেশ কিছুদিন বৃষ্টি নেই। গরমে মানুষ অনেক কষ্ট করছে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা এ নামাজের আয়োজন করেছি।

এ দিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৫৪ শতাংশ।


এডিএস/

আর্কাইভ