• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্‌যাপন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম

দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদ্‌যাপন

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদ উদ্‌যাপন হচ্ছে। এসব এলাকায় সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন রোজা শুরু হয়, সেই হিসেবে একদিন আগে ঈদুল ফিতরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঈদ উদ্‌যাপন হচ্ছে যেসব জেলায়: মৌলভীবাজার, চাঁদপুর পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাটের মোংলা, মাদারীপুর ও সাতক্ষীরায়।

সিটি নিউজ ঢাকা প্রতিনিধিদের পাঠানা তথ্য

মৌলভীবাজার: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় সার্কিট হাউস এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই ঈদের জামাত। এ ঈদের জামাতের ইমামতি করেন আবদুল মাওফিক চৌধুরী। এতে শতাধিক মুসল্লি (নারী-পুরুষ) অংশ নেন। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ইমাম আবদুল মাওফিক চৌধুরী বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আমরা রোজা শুরু করেছিলাম তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখেই ঈদ উদ্‌যাপন হচ্ছে।

চাঁদপুর: চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন হচ্ছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের অন্যতম প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।এতে ইমামতি করেন, মাওলানা এসএম রহমতুল্লাহ। এদিকে ঈদ নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন। এর আগে গত ২২ মার্চ থেকে শুরু করে তারা ২৯টি রোজা পালন করেন।

বাগেরহাটের মোংলা: মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের চটেরহাটসহ কয়েকটি এলাকায় শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৮টায় চটেরহাট বাজার জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদে নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে মিষ্টি মুখ করেন মুসল্লিরা। চটেরহাট বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. বিল্লাল হেসাইন বলেন, ইমাম আবু হানিফার মতাদর্শে বিশ্বের যে কোনো দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদ্‌যাপন করতে হবে।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বাওখোলা ও ভাড়ুখালীতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলা ভাড়ুখালী আহলে সুন্নাত আল জামাত মসজিদে মাওলানা মাহবুবুর রহমানের ইমামতিতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে জেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের তিন শতাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এরপর বাউকোলা আহলে সুন্নাত আল জামাত মসজিদে মাওলানা মহব্বত আলীর ইমামতিতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মহব্বত আলী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয়ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছেন জেলার ইসলামকাটি, গোয়ালচত্বর, ভাদড়া, ঘোনা, ভাড়ুখালি, চাঁদপুর,  মিরগিডাঙ্গাসহ প্রায় ২৫ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমান।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছেন। শুক্রবার সকালে জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরিফ মাঠে। প্রথম জামায়াত সকাল ৯টা ও দ্বিতীয় জামায়াত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ঈদুল ফিরতের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সকালে উপজেলা শহরে ফুটবল মাঠ এলাকায় এ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

ইমাম মাওলানা রেজাউল ইসলাম বলেন, সহি হাদিসের আলোকে বিগত ১৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডুতে ঈদ জামাত করেন।  হরিণাকুণ্ডুর কয়েকটি স্থানে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যার কারণে উপজেলা মোড়ে মুসল্লির সংখ্যা কমে গেছে।

ঈদ জামাত কমিটির সভাপতি মো. বজলুর রহমান বলেন, ওআইসিসহ সব মুসল্লি আজকে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। সে কারণে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। আমরা রাসুলের সুন্নাহ অনুসরণ করে চলি।

পটুয়াখালী: সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে আগাম ঈদুল ফিতর পালন উদ্‌যাপন করছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা একদিন আগে রোজা রেখেছিলেন; তাই একদিন আগে ঈদ পালন করছেন। সকাল ৯টায় বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা শফিকুল ইসলাম আবদুল গনি নামাজে ইমামতি করেন। জেলার গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পারা, মৌডুবি, বাউফলের মদনপুরা, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, শাপলা খালী, কনকদিয়া, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়ীয়া, শহরের নাঈয়া পট্টি, টিয়াখালী, তেগাছিয়া, দক্ষিণ দেবপুরসহ ৩৫ গ্রামের মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছেন।

সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরিফের খাদেম মোতাওক কিল বিল্লাহ রাব্বানী জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে ১৯২৮ সাল থেকে এখানকার গ্রামবাসীরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন আগে তারা ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করেন।

মাদারীপুর: ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করেছেন মাদারীপুরের ২৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ। সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বড় এই ঈদের জামাত পড়ান চরকালিকাপুর ফরাজী বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল ইদ্রিস।

সকালে সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, বাহেরচর, কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার ২৫ গ্রামে ঈদের জামাত হয়।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ