• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী গরু পাচারকারী নিহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০২:০৯ এএম

জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী গরু পাচারকারী নিহত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলার  সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন আগে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করত। সাম্প্রতিক সময়ে সে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা  কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিজানুর। পালিয়ে যায় তার সহযোগীরা। তার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা খাতুন অবিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী গত দেড় বছর আগে গরুর ব্যবসা করত। এরপর থেকে সে আর ব্যবসা করে না। এখন সে দিনমজুরের কাজ করে। গত বুধবার সন্ধ্যার সময় পাশের বাড়ির মধুর ছেলে বাদল, কাওসারের ছেলে ফারুক ও আরিফুলের ছেলে জীবন আমার বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর বাড়িতে আসেনি। এরা তিনজন ভারত থেকে  গরু ও মানুষ আনা নেওয়া করে। আমি আজ সকালে বাদলদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তারা তিনজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছেন। কোনো বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে কি না- জানতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিএসএফ’র কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবো।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী থানায় এসে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় মৃত্যুর বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে একটা ছবি দেখে মিজানুরের স্ত্রী মিজানুরের লাশ সনাক্ত করে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

আর্কাইভ