• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছর আত্মগোপনে যুবক, অতঃপর...

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছর আত্মগোপনে যুবক, অতঃপর...

কক্সবাজার প্রতিনিধি

এক লাখ বিশ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন আত্মসাৎ করে দীর্ঘ এক বছর সাত মাস আত্মগোপনে থাকার পর শের আলী (৩২) নামের এক যুবককে আটক করেছে নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটক ওই ব্যক্তি নিজে আত্মগোপনে থেকে তার পরিবারের লোকজনকে দিয়ে প্রতিপক্ষের ১২ জনকে আসামি করে একটি গুম ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

সোমবার ভোরে কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের মারছা বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত শের আলী নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আত্মগোপনে থাকা শের আলী চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় সিএনজি চালানোর সুবাদে পরিচয় হয় হাতিয়া বাজার এলাকার মোবারকের সঙ্গে। গত ২০২২ সালের ৫ জুলাই মোবারক একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথার মৌলভীবাজার মোটরসাইকেল শো-রুমে যায়। এ সময় মোবারকের মোটরসাইকেল ক্রয়ের এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল শের আলীর কাছে ছিল। মোটরসাইকেল ক্রয় করতে আইডি কার্ড, ছবি লাগবে জানার পর টাকা ও মোবাইলটি শের আলীর কাছে রেখে বাসায় যান মোবারক।

এ সুযোগে টাকা ও মোবাইল নিয়ে ওই স্থান থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি কবিরহাটে চলে যায় শের আলী। পরে এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে প্রথমে একবার সালিশ বৈঠক হয়, কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় অভিযুক্ত শের আলীকে ৭ জুলাই হাতিয়ার হরণি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই এলাকা থেকে কৌশলে পালিয়ে শের আলী আত্মগোপন করেন।

পরে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আদালতে একটি গুম ও অপহরণ মামলা করেন তার চাচা দেলোয়ার হোসেন বিটু। ওই মামলায় মোবারক ও তাদের সঙ্গে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ থাকা শামছুল হক মাঝিসহ মোট ৯ জনকেও আসামি করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি কবিরহাট থানা হয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

]

নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মগোপনে থাকা শের আলীর অবস্থান কক্সবাজার, বান্দরবন, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। সর্বশেষ সে কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের মারছা বাস কাউন্টারের সামনে আছে নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তিনি স্বীকার করেছেন- তিনি মারছা বাসের চালক হিসেবে এতদিন চাকরি করে আসছিলেন। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আর্কাইভ