• ঢাকা রবিবার
    ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
পঞ্চগড়ে টমেটো চাষী ও ব্যবসায়ীদের

ভারত থেকে এলসি’র মাধ্যমে টমেটো আনা সাময়িক স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম

ভারত থেকে এলসি’র মাধ্যমে টমেটো আনা সাময়িক স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

ভারত থেকে আমদানীকৃত এলসি টমেটো আনা স্থগিতের দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন করেছে টমেটো চাষী ও ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পঞ্চগড়-নীলফামারী’র টমেটো চাষী ও ব্যবসায়ীদের ব্যানারে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় বক্তব্য দেন জেলা সদরের চাকলাহাটের টমেটো ব্যবসায়ী রাসেল আলী, দেবীগঞ্জের ভাউলাগঞ্জের হাসিবুল আলম রিজু, সদরের হাড়িভাসার আহমদ দুলু, চাকলাহাটের রিয়াজুল ইসলাম ও গোলাম হোসেন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, মৌসুমের শেষে এসে ব্যবসায়ীরা অধিক দামে কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা টমেটো কিনেছে। যার বিক্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। বাজারে দামও বেশ ভাল ছিল। কিন্তু ভারত থেকে এলসি টমেটো আসার পর থেকে টমেটোর দাম অনেক কমে গেছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা তাদের টমেটো বিক্রয় করতে পারছে না। এ কারণে কৃষকদের কাছ থেকে বাকিতে কেনা টমেটোর দাম এবং শ্রমিকদের মজুরী প্রদান করতে পারছেন না। তাদের দাবি মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য ভারত থেকে এলসির টমেটো আনা বন্ধ হলে পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার উৎপাদিত টমেটো বিক্রয় শেষ হয়ে যাবে। আর এলসি বন্ধ না হলেও ব্যবসায়ী ও টমেটো চাষীরা বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হবে।

সদর উপজেলার চাকলাহাটের ব্যবসায়ী রাসেল আলী জানান, মৌসূম শেষ হওয়ায় আমরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিমন টমেটো এক হাজার চারশ টাকা থেকে পাঁচশ টাকা দরে কিনেছিলেন। এই টমেটো পাঁকিয়ে প্রতি ক্রেট (২৫ কেজি) এক হাজার চারশ থেকে পাঁচশ টাকা দরে বিক্রয় করছিলাম। কিন্তু ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে টমেটো আসার পর থেকে প্রতি ক্যারেট টমেটোর দাম নেমে এসেছে পাঁচ থেকে ছয়শ টাকায়। এতে করে আমার  ক্ষতি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার মত। আমি এখন চাষীদের ও শ্রমিকদের টাকা দিতে পারছি না। পাওনাদার আমার কাছে টাকার জন্য প্রতিদিন ঘুরছে । ভারত থেকে টমেটো আসা বন্ধ না হলে কোন জায়গা থেকে ঋণ অথবা বাড়ির জমি বিক্রয় করে আমাকে তাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ