• ঢাকা সোমবার
    ৩০ জুন, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে অধিকাংশ দল একমত’

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম

‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে অধিকাংশ দল একমত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ দল একমত হলেও কয়েকটি দল এই বিষয়ে সুস্পষ্ট আপত্তি করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

রোববার (২৯ জুন) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐক্যমত কমিশনের দ্বিতীয় অধিবেশনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে, প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট করার জন্য অধিকাংশ দল মতামত দিয়েছে। কিছু কিছু দল এই বিষয়ে সুস্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেহেতু দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট গঠনে আগ্রহী আছে সে ক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একমত হতে পারব। যেসব দল এই বিষয়ে আপত্তি আছে তারা জানিয়েছে আবারও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।’

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করার জন্য। প্রস্তাবের পর অনেক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবটি সমর্থন করছে না। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নামে নতুন কমিটির করার প্রস্তাব করেছিলাম। সেখানে এনসিসির যেসব দায়দায়িত্ব ছিল, তা সীমিত করে কাঠামোগত দিক পরিবর্তন করা হয়। যেসব রাজনৈতিক দল কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছিল তারা এর বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল আমরা তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে নতুন কাঠামোগত দিকের প্রস্তাব তুলে ধরেছি।

প্রস্তাবের পর অনেক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবটি সমর্থন করছে না। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নামে নতুন কমিটির করার প্রস্তাব করেছিলাম। সেখানে এনসিসির যেসব দায়দায়িত্ব ছিল, তা সীমিত করে কাঠামোগত দিক পরিবর্তন করা হয়। যেসব রাজনৈতিক দল কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছিল তারা এর বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল আমরা তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে নতুন কাঠামোগত দিকের প্রস্তাব তুলে ধরেছি।

আমরা বলেছি সংসদের সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মে লিপ্ত এমন ব্যক্তি নয় মনোনয়নের পূর্বে ১০ বছর কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় বা কোনো সংগঠনের সদস্য নয় এমন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি পাঠাতে পারবেন। প্রধান বিচারপ্রতির প্রতিনিধির ক্ষেত্রে আমরা বলেছি তার মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি কাঠামোটগত দিক থেকে এটাই আমরা প্রস্তাব করেছি। নিম্নকক্ষের স্পিকার এটাই সভাপতিত্ব করবেন।’

এ সময় একটি বিষয় আসছে, যখন সংসদ বহল থাকবে না তার মানে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে তখন কী হবে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তাব ছিল এটা অব্যাহত রাখার। এই কমিটি অন্য পরিবর্তন করে বিরোধী দলের যেসব সদস্য ছিলো তাদের পরিবর্তে উপদেষ্টা পরিষদের একজন করে প্রতিনিধি দেওয়া। অধিকাংশ রাজনৈতিকদল যারা এই কমিটিকে সমর্থন করে তারা মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে এই কমিটি বহাল রাখার প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন ওঠে ওই সময় নির্বাচন কমিশনে কিভাবে নিয়োগ হবে- আলোচনা করে অনেকে প্রস্তাব করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে সীমিতভাবে দেওয়া যায়। অন্য কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা থাকবে না।’

এ বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সমর্থন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাঠামোগত ক্ষেত্রে আরেকটু আলোচনা ও সুস্পষ্ট হওয়া দরকার। যে সব দল এখনো এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে অনুরোধ করেছি- পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না। আশা করছি যে সব দল এখন পর্যন্ত একমত হতে পারছেন না তারা এগুলো পুর্নবিবেচনা করবে।’

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ