• ঢাকা শনিবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সুন্দরগঞ্জে ধানের শীষে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম

সুন্দরগঞ্জে ধানের শীষে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের নমিনি অধ্যাপক ডাঃ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া মোহাম্মদ আলীর পরিবর্তন চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপির একাংশ। 

শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আরেফিন আজিজ সরদার সিন্টুর পক্ষে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। 

বিক্ষোভ মিছিলটি সুন্দরগঞ্জ ডি ডাব্লিউ সরকারি কলেজ থেকে বের হয়ে বাহিরগোলার মোড় হয়ে থানার সামন দিয়ে স্বাধীনতা চত্বরে এসে সমাবেশ করেন। 

বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দেন। ‍‍`সিন্টু ভাইকে ধানের শীষের নমিনি হিসাবে দেখতে চাই’, ‘জনবান্ধব সিন্টু ভাই, ধানের শীষে আপনাকে চাই’, ‘১৭ বছর আসে নাই, সেই প্রার্থীর ঠাই নাই’, ‘ধানের শীষকে বাঁচাতে সিন্টু ভাইয়ের বিকল্প নাই’, ‘১৫ টি ইউনিয়নের নাম বলতে পারে না, এমন প্রার্থী চাই না’, ‘মাঠে ঘাটে যারে পাই, সেই আমাদের সিন্টু ভাই’, ও ‘নমিনির পরিবর্তনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত’সহ নানা শ্লোগান লেখা ছিলো সেগুলোতে। 

দহবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সুন্দরগঞ্জ পৌর বিএনপি যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর জামিউল ইসলাম জমু, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোশতাক আহমেদ, জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান সিদ্দিক মুসা, মহিলাদল নেত্রী মোছাঃ বিউটি বেগম, দহবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা মো. মন্টু মিয়া ও মাইদুল ইসলাম বাবুসহ অনেকে। 

বক্তারা বলেন, ধানের শীষের নমিনি ডাঃ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী এলাকায় থাকেন না। উনি সবসময় ঢাকায় থাকেন। সেখানে উনি উনার ডাক্তারি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। দরকারে কখনো তাকে কাছে পাই না আমরা। সে কারণে তাকে পরিবর্তন করে দেয়া হোক। তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমান প্রার্থী পরিবর্তন করে সিন্টু ভাইকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে হবে।

তারা আরও বলেন, ‘আগামীর রাজনৈতিক সংগ্রামকে গতিশীল করতে, দলকে সুসংগঠিত রাখতে এবং সুন্দরগঞ্জে বিএনপিকে শক্তিশালী অবস্থানে ফেরাতে তৃণমূল যাকে সমর্থন করছে, তাকে প্রার্থী করা ছাড়া বিকল্প নেই।’

বক্তারা বলেন, ধানের শীষের নমিনি ডাঃ খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী এলাকায় নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। তিনি প্রধানত ঢাকায় থাকেন এবং চিকিৎসা পেশায় ব্যস্ত থাকায় প্রয়োজনমতো কখনো তাকে কাছে পাওয়া যায় না। তাই তাঁকে পরিবর্তন করে তৃণমূলের সমর্থনপ্রাপ্ত জনবান্ধব নেতা সিন্টু ভাইকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তারা।

তারা আরও বলেন, ‘আগামীর রাজনৈতিক সংগ্রামকে গতিশীল করতে, দলকে সুসংগঠিত রাখতে এবং সুন্দরগঞ্জে বিএনপিকে শক্তিশালী অবস্থানে ফেরাতে তৃণমূল যাকে সমর্থন করছে, তাকে প্রার্থী করা ছাড়া বিকল্প নেই।’

বক্তারা অভিযোগ করেন, ডাঃ জিয়া মনোনয়ন পাওয়ার পরও সুন্দরগঞ্জের মাঠে সক্রিয় নন। এলেও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না এবং কাউকে সঙ্গে নিয়ে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমও পরিচালনা করেন না। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা।

তাদের দাবি, ‘দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগহীন প্রার্থী দিলে নির্বাচন কঠিন হবে এবং তৃণমূলের মনোবলও ভেঙে যাবে। তাই বাস্তবতা বিবেচনায় জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ সিন্টু ভাইয়ের মনোনয়ন এখন সময়ের দাবি।’

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ