• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১৬ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ১২:৫৪ এএম

সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা!

বিনোদন ডেস্ক

পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় তলবের ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরা পুলিশ হোটেলে গিয়ে তৃণমূল যুবনেত্রীকে থানায় যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোন অভিযোগে তাকে থানায় তলব করা হচ্ছে, কোনো নোটিশ দেখাতে পারেনি ত্রিপুরা পুলিশ।

তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ কোন অভিয়োগে সায়নী ঘোষকে থানায় তলব করেছে, তা জানাতে পারেনি। তবু পুলিশের অনুরোধ মেনে সৌজন্যের খাতিরে সায়নী থানায় যাবেন। অদ্যাবধি পরেই ত্রিপুরার আগরতলায় মহিলা থানায় যান সায়নী। সঙ্গে যান কুনাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব ও সুবল ভৌমিকও।

আগরতলা মহিলা থানায় পুলিশের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন কুনাল-সায়নীরা। তারা জানতে চান, কেন সায়নীকে তলব করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু কেন, তার কোনো উত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব। কুনাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকট হয়ে উঠছেতার প্রমাণ এই তলব।’

তৃণমূল অভিযোগ করছে, সোমবার আগরতলায় কর্মসূচি রয়েছে তাদের। সেই কারণেই তৃণমূল নেতাদের হোটেলে ঢুকে পুলিশ সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে সৌজন্য দেখিয়ে পুলিশ আগরতলা মহিলা থানায় যান সায়নী। সায়নীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে নাকি কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে, তা জানা নেই তৃণমূল নেতৃত্বের।

এরই মধ্যে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভাস্থলের পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিল সায়নী ঘোষের গাড়ি, তখন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সায়নী ঘোষের উদ্দেশ্যে দিদি দিদি করে ডাকতে শুরু করেন। তখন সায়নী বলেন, ‘খেলা হবে। তারপর সায়নীর গাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। গাড়িতে ধাক্কা দিতে শুরু করেন কর্মী-সমর্থকেরা। এই ঘটনায় সায়নী বিজেপি কর্মীদের উত্তপ্ত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।’

এই ঘটনায় সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ, এমনটাই জানা গিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্রে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বকে কিছু জানানো হয়নি। তৃণমূল নেতাদের বাইরে বের করে দিয়ে সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাল্টা জানানো হয়েছে, বিজেপি যখন এফআইআর করছে, তখন একরকমভাবে দেখছে পুলিশ। আর তৃণমূল এফআইআর করলে কোনো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। তৃণমূল নেতাদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে।

তৃণমূল জানিয়েছে, তাদের সৌজন্যকে যেন বিজেপি বা ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন দুর্বলতা বলে না মনে করে। আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। সেই ভয় থেকেই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার নিদর্শন রাখছে ত্রিপুরা বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এখন থেকেই কাঁপতে শুরু করেছে, যখন বিধানসভা নির্বাচন হবে, তখন তাহলে কী করবে বিজেপি, প্রশ্ন ছুড়ে দেন সায়নী।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ