প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১, ১০:৫০ এএম
বাড়তি ওজন কমাতে কিংবা
কাঙ্ক্ষিত ওজন পেতে সঠিক
ডায়েট মেনে চলা জরুরি।
অনেকে নানা ধরনের প্রচেষ্টার
পরও ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে
পারেন না, পান না
ফিটনেস। শরীরের মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া
ব্যর্থ হয় বারবার। কিন্তু
এর কারণ কী? ডায়েট
মেনে চলেন, শরীরচর্চাও করেন, তারপরও ওজন কমে না
কেন?
বেশির
ভাগ মানুষই ডায়েট চলাকালীন কিছু ভুল করে
থাকেন। সেসব ভুলের কারণে
ওজন তো কমেই না,
উল্টো স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। যে কারণে
ডায়েট মেনেও পাওয়া যায় না উপকার।
কোন ভুলগুলোর কারণে এমনটি হয়ে থাকে তা
জানা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ
হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া
যাক-
বাদাম থেকে দূরে থাকা : ওজন কমানোর চেষ্টা করলেই ডায়েট থেকে সবার আগে বাদাম বাদ দেন অনেকে। এর কারণ হলো বাড়তি ক্যালরি। অনেকেই ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদাম খান না। এই অভ্যাস মোটেই উপকারী নয়। কারণ বাদামে থাকে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, এটি পরিপাকে সাহায্য করে। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদাম পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনিই। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন সামান্য হলেও বাদাম খাওয়ার।
পানি
কম পান করা : সুস্থ
থাকার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত
পানি পান করা জরুরি।
কারণ আপনি যদি পানি
কম পান করেন তবে
দেখা দেবে পানিশূন্যতা। আর
পানিশূন্যতার কারণে সৃষ্টি হয় পরিপাকে সমস্যা।
এ কারণে কমে যায় ওজন
কমার গতি। তাই ওজন
কমানোর প্রক্রিয়া সচল রাখার জন্য
আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে
হবে।
কফি
পান করা : প্রতি কাপ কফিতে থাকে
৫০০-এর বেশি ক্যালোরি।
আপনি যদি ডায়েট মেনে
চলেন এবং পাশাপাশি কফি
খেতে থাকেন তবে কাঙ্ক্ষিত ওজন
পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। কারণ
কফিতে থাকা ক্যালোরি বেশ
দ্রুতই শরীরে কাজ করতে শুরু
করে। তাই ওজন কমাতে
চাইলে ডায়েট মেনে চলার পাশাপাশি
বাদ দিতে হবে কফি
পান করাও।
অবাস্তব
পরিকল্পনা : অনেকে ডায়েট শুরু করার আগেই
নানা কিছু কল্পনা করে
ফেলেন। তারা ভাবেন, ডায়েট
শুরু করলেই বুঝি হু হু
করে ওজন কমতে শুরু
করবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই
বুঝি কেজি দশেক কমাতে
পারবেন! এসব অবাস্তব কল্পনার
সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল না
থাকায় তারা সহজেই হতাশ
হয়ে পড়েন। তখন অনেকে হাল
ছেড়ে দেন বা আগ্রহ
হারিয়ে ফেলেন। তাই ডায়েট নিয়ে
অবাস্তব কোনো পরিকল্পনা করবেন
না।
তারিক/এম. জামান