• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সাংবাদিক এখন ইট ভাটার শ্রমিক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১, ১২:২৭ পিএম

সাংবাদিক এখন ইট ভাটার শ্রমিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ। ফলে বেকার সমস্যা বেড়েই চলেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়ে নতুন পেশা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তেমনই একজন জবিউল্লাহ ওয়াফা।

একসময় আফগানিস্তানের নানা মানুষের নানা দুর্দশা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতেন জবিউল্লাহ ওয়াফা। অন্যের দুঃখ-কষ্টের কথা লিখতেন। আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশের পশ্চিম ফিরোজ কোহ শহরে একটি সংবাদমাধ্যমের জন্য রিপোর্ট করতেন তিনি। সেই জবিউল্লাহ আজ সংবাদের শিরোনামে। পরিবারের ১০ সদস্যের পেট বাঁচাতে ইট ভাটার শ্রমিক হিসাবে কাজ করছেন এই আফগান সাংবাদিক। 

গণতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর আয়ের উৎস হারানো হাজার হাজার আফগানের মধ্যে তিনিও একজন। খামা প্রেস নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, তিনি গত ১০ বছর ধরে বাদগিস প্রদেশে সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় মিডিয়ার আর্থিক বিপর্যয়ের কারণে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। দু’মাস বেকার থাকার পর অগত্যা অন্য কাজ না পেয়ে শ্রমিকের কাজে নেমে পড়েন। ওয়াফা বলেন, ‘তালেবান দখলের পর, কর্তৃপক্ষ আমাকে ছাঁটাই করেছে। আমার পরিবার ভরণ পোষণের জন্য আমি আমার বাবার সঙ্গে ইট তৈরির কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তাতে কী! এটাও কাজ।’ তিনি জানান, শত শত আফগান সাংবাদিকের অবস্থা এখন তার মতোই। এই শ্রেণির লোকদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

কাবুলের পতনের পর আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ হওয়ায় এবং তালেবানের হুমকির মুখে দেশটির দেড় শতাধিক গণমাধ্যম ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় আরেক সাংবাদিক প্রেস নিউজকে বলেন, ‘মিডিয়া বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু এখন কোনো বিজ্ঞাপন নেই। সমস্যা এ কারণেই প্রকট হয়েছে। অনেকেই চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন।’

 

শামীম/ডাকুয়া

আর্কাইভ