• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আরিয়ানকাণ্ড ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ১১:৪৭ এএম

আরিয়ানকাণ্ড ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মুম্বাইয়ে প্রমোদতরীতে উদ্ধার হওয়া মাদক এবং শাহরুখ-তনয় আরিয়ানের গ্রেফতারের ঘটনা জটিল আকার ধারণ করছে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা নবাব মালিক এ ঘটনায় ‘বড়সড় ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছেন । তার দাবি, এই ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) সকলের অগোচরে দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বিজেপি নেতার আত্মীয়। আর সে কারণেই একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মালিক।

এনসিবি কাদের নির্দেশনায় কাজ করছে এবং তারা কাদের ছেড়ে দিয়েছে সেই সমস্ত প্রমাণ নিয়ে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) হাজির হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপি নেতা। তার অভিযোগ, দেশের মাদকবিরোধী সংস্থা শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য গত এক বছর ধরে মুম্বাইয়ে নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা পরিচালিত সরকার, মুম্বাই এবং বলিউডের বদনাম করতেই এ ধরনের ভুয়া অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি মালিকের।

তার কথায়, ‘এনসিবির আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে দাবি করেছেন তাদের হেফাজতে ১০ জন রয়েছেন। অথচ আদালতে ৮ অভিযুক্তকে পেশ করা হলো। যে অফিসার এই অভিযান চালিয়েছেন তিনিই তো অস্পষ্ট তথ্য দিচ্ছেন। ৮ জন, নাকি ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল ঘটনার দিন সেই বিষয়টিই তো স্পষ্ট করছেন না তদন্তকারী কর্মকর্তা।’ এরপরই মালিক দাবি করেন, ‘এনসিবি ১০ জনকে আটক করলেও দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি এনসিবিকে অভিযান চালানোর জন্য খবর দেন, অন্যজন বিজেপি নেতার আত্মীয়।’

মালিকের অভিযোগ, ‘মহারাষ্ট্রের বদনাম করাই লক্ষ্য এনসিবির। রিয়া চক্রবর্তী, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে আরিয়ান খানযেখানেই প্রচার পাওয়ার মতো বিষয় আছে সেখানেই ঝাঁপাচ্ছে এনসিবি। অনেকগুলো মামলা আবার ভুয়া। কোনও কোনও ঘটনায় মাদকই উদ্ধার হয়নি। এনসিবি নিজেদের দফতরের মাদক নিয়ে এসে সেগুলোর ছবি তুলে দাবি করছে মাদক উদ্ধার হয়েছে! এবং সেই ছবি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে।’

এনসিবি যখন প্রমোদতরীতে অভিযান চালাচ্ছিল তাদের সঙ্গে দুই ব্যক্তি ছিলেন। তার মধ্যে একজন হলেন বিজেপি কর্মী মণীশ ভানুশালী। মালিকের প্রশ্ন এনসিবির অভিযানের সময় ওই বিজেপি কর্মী কেন গিয়েছিলেন? যদিও ওই ব্যক্তি নাকি দাবি করেছেন এনসিবির অভিযানের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবেই নাকি তার সেখানে যাওয়া। মালিক বলেন, ‘সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর এনসিবির নতুন কর্মকর্তা আনা হলো। গত ৩৫ বছরে এ রকম প্রচার পাওয়ার মতো কোনও কাজ করেনি এনসিবি। গত বছর থেকেই এই প্রচার পাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।’

মালিকের অভিযোগ, বলিউড এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে বদনাম করতেই এই ষড়যন্ত্র। বলিউডের সঙ্গে রাজনীতিকদের জড়িয়ে ভুয়া মামলা তৈরি করা হচ্ছে। এবং সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।

 

শামীম/এএমকে

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ