• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সিনোভ্যাকের টিকার প্রয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত থাইল্যান্ডের

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ১১:২৪ পিএম

সিনোভ্যাকের টিকার প্রয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত থাইল্যান্ডের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের সিনোভ্যাকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড। মজুদ থাকা টিকা ফুরিয়ে গেলেই চীনের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। সোমবার (১৮ অক্টোবর) দেশটির সরকারি জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা সিনোভ্যাকের টিকার প্রয়োগ বন্ধের এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে সম্মুখসারির কর্মী, উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী এবং পর্যটন দ্বীপ ফুকেটের বাসিন্দাদের জন্য করোনাভাইরাসের দুই ডোজের টিকার প্রয়োগ শুরু করে থাইল্যান্ড। তখন থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে সিনোভ্যাকের অন্তত ৩ কোটি ১৫ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।

গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ডে সিনোভ্যাকের প্রথম ডোজ দেওয়া লোকজনকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ শুরু হয়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডই চীনা এবং পশ্চিমা টিকার মিশ্রণ প্রয়োগ করে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা টিকার মিশ্রণে কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানানোর পর থাইল্যান্ডের সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।

সিনোভ্যাকের টিকার ডোজ ফুরিয়ে আসায় এখন দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ফাইজার এবং বায়োএনটেকের ডোজের মিশ্রণ প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওপাস কর্নকাউইনপং বলেন, ‘আমরা আশা করছি— এই সপ্তাহে সিনোভ্যাকের সমস্ত ডোজ বিতরণ সম্পন্ন হবে।’

আগামী বছর মোট ১২ কোটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ কেনার পরিকল্পনা করেছে থাইল্যান্ড এবং ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার স্থানীয়ভাবে তৈরি টিকার ৬ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়ে রেখেছে।

থাইল্যান্ড বলছে, তারা শুধু করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিনই কিনবে। দেশটিতে বসবাসরত ৭ কোটি ২০ লাখ মানুষের ৩৬ শতাংশকে ইতোমধ্যে টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ টিকাদানের এই হার ৭০ শতাংশে পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছে দেশটির সরকার।

কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের টিকার ডোজ পূর্ণ করা দর্শনার্থীদের জন্য আগামী মাস থেকে ১৭টি প্রদেশ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ডের সরকার। ওই দর্শনার্থীরা পাতায়া, হুয়া হিন, চিয়াং মাই এবং ব্যাঙ্ককেও যেতে পারবেন।

থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৮ হাজার ৩৩৬ জন।

 

শামীম/এম. জামান

আর্কাইভ