• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিজাব বিতর্কে উত্তাল ইরান, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বহু হতাহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৫:৩০ পিএম

হিজাব বিতর্কে উত্তাল ইরান, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হিজাব বিতর্কে অগ্নিগর্ভ ইরান। প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালিয়েছে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৩১ জনের। প্রতিবাদে দেশটির রাজধানী তেহেরান-সহ ২০টিরও বেশি শহরে শুরু হয়েছে আন্দোলন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের সেই ভিডিও। সেখানে প্রকাশ্যে হিজাব খুলে বা আগুন দিয়ে হিজাব পুড়িয়ে দিয়ে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে বহু ইরানি মহিলাকে।

এই ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ‘আমরা সাহসী ইরানি নারীদের পাশেই আছি।’ যদিও এই নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলির অভিযোগ খারিজ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে গত শুক্রবার মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের বাসিন্দা বছর ২২-র মাসা আমিনির। তার মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদীরা তেহেরানের রাস্তায় জড়ো হন। সেখানে তাদের চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এই ভাষাতেই স্লোগান দেন তারা। পাশাপাশি, অনেক ইরানি মহিলা তাদের চুল কেটে ফেলেও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

উল্লেখ্য ইরানে হিজাব পরা এবং নারীদের লম্বা চুল রাখা বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি হিজাব না পরে রাস্তায় বের হয়েছিলেন মাসা আমিনি। তাকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করেন কয়েকজন। পরে ওই তরুণীকে আটক করে ইরানের পুলিশ। মাসার পরিবারের অভিযোগ, হেফাজতে থাকাকালীন তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে ওই তরুণী কোমায় চলে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এর পরই মাসার পরিবারের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। মাসাকে আটক করার পর পুলিশ কর্মীরা তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন তারা।

মাসার মৃত্যুর ঘটনায় শুধু ইরান নয়, বিশ্বজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার শাখা। এই সংস্থার প্রধান নাদা অল-নাসিফ বুধবার বলেন, ‘ঘটনার ভয়াবহতা আমাদের নাড়িয়ে দিয়েছে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা একাধিক দেশের অভিযোগ, ইরানে নারীদের সম্মান করা হয় না। তবে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমদের  অভিযোগ খারিজ করে দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

জেডআই/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ