• ঢাকা বুধবার
    ১৫ মে, ২০২৪, ৩১ চৈত্র ১৪৩১

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দায় পড়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০১:১৭ এএম

চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দায় পড়ার শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দায় পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের অর্থনীতির চাকা মন্থর হওয়ায় গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সাল ‘আরও কঠিন‍‍` হতে যাচ্ছে।’ সোমবার (২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউক্রেনে যুদ্ধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ সুদহার ও চীনে কোভিডের বিস্তৃতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

গত বছরের অক্টোবরেই আইএমএফ তাদের আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খানিকটা কম হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।

সিবিএস নিউজের ফেইস দ্য নেশন প্রোগ্রামে জর্জিয়েভা বলেন, ‘আমাদের ধারণা, বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ মন্দায় পড়বে। এমনকি যেসব দেশ মন্দায় পড়বে না, সেখানেও কোটি কোটি মানুষ মন্দা অনুভব করবে।’

ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা সামাল দিতে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ায় অক্টোবরে আইএমএফ  ২০২৩-এ আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল।

এরপর চীন তার ‘শূন্য কোভিড নীতি’ বদলে ফেলে অর্থনীতি সচল করার কাজ শুরু করে। অবশ্য বিধিনিষেধ তুলে ফেলায় দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জর্জিয়েভা ২০২৩ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের শুরুটা কঠিন হবে বলেও সতর্ক করেছেন।

তিনি বলেন, ‘পরের কয়েকটি মাস চীনের জন্য কঠিন সময় যাবে। চীন, ওই অঞ্চল এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে এর প্রভাব হবে নেতিবাচক।’

আইএমএফের সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯০। আইএমএফের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা নিয়ে আগেভাগে সতর্ক করা। কয়েকদিন আগে প্রকাশিত তথ্যে তারা ২০২২ সালের শেষে চীনা অর্থনীতির দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করেছিল।

ডিসেম্বরের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচকই (পিএমআই) দেখাচ্ছে, চীনের কারখানাগুলোর কর্মকাণ্ড টানা তৃতীয় মাস এবং তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সংকুচিত হয়েছে।

একই মাসে দেশটির ১০০টি শহরে বাড়ির দামও কমেছে, টানা ছয় মাস ধরে এই নিম্নমুখী হার দেখা যাচ্ছে বলে চীনের অন্যতম বড় ও স্বাধীন প্রোপার্টি রিসার্চ ফার্ম চায়না ইনডেক্স একাডেমির জরিপে উঠে এসেছে।

‘শূন্য কোভিড নীতিতে’ বদল আনার পর জনসমক্ষে শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করা চীনের’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলকে আরও বেশি উদ্যমী ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এআরআই

আর্কাইভ